চামড়া শিল্প অর্থনীতির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তৈরি পোশাকের পর চামড়া শিল্প জাতীয় অর্থনীতির জন্য দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, ‘এ শিল্পের পরিবেশ সুরক্ষা, শিল্প সংশ্লিষ্টদের পেশাগত নিরাপত্তা এবং সামাজিক কমপ্লায়েন্স জোরদারে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে সাভারে অত্যাধুনিক চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়েছে।’

লেদার গুডস অ্যান্ড ফুট ওয়্যার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। শিল্প মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মূল্য সংযোজনের উদ্যোগ নেবে। এ লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি শিল্পায়নের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ জোরদার করা হবে। ইশতেহারে ঘোষিত শিল্পখাতের লক্ষ্য অর্জনে খাতভিত্তিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা হবে।’

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জাতীয় অর্থনীতিতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চামড়াজাত পণ্যে মূল্য সংযোজন ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। ২০২১ সাল নাগাদ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চামড়া শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ খাত থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের সুযোগ আছে বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের প্রস্তাব করলে মন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। একই সঙ্গ তারা চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সংগঠনের উদ্যোগে প্রণীত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় লেদার গুডস অ্যান্ড ফুট ওয়্যার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল হাসান সোহাইল, পরিচালক জিয়াউর রহমান, নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা উপস্থিত ছিলেন।

এমইউএইচ/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।