ডিএসইর ৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত পাঁচ শতাংশ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ডিএসইর ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অনুমোদন দেয়া হয়।
লভ্যাংশ অনুমোদনের পাশাপাশি বার্ষিক সাধারণ সভায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন, নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা। একইসঙ্গে পরবর্তী অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের পারিতোষিক নির্ধারণ করা হয়।
এ সভার মাধ্যমে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে মো. রকিবুর রহমান পুনরায় বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিএসইর পরিচালক নির্বাচিত হন। পরিচালক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু রকিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন কমিশন তাকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নব-নির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার গতিশীল ও স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বের অধীনে নতুন সরকার শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের প্রতি। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার কাজী ফিরোজ রশিদ, আহসানুল ইসলাম টিটু, মো. শফিকুর রহমান, আব্দুল মমিন মণ্ডল এবং আবদুস সালাম মুর্শেদীকে অভিনন্দন জানান ডিএসইর চেয়ারম্যান।
অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ডিএসইতে একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটে। অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও সফলভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্ট গত এক বছর কৌশলগত বিনিয়োগকারী আনার ব্যাপারে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করে। নিরলস পরিশ্রম ও দীর্ঘ কর্মযজ্ঞের পর অবশেষে বিশ্বের খ্যাতিমান এক্সচেঞ্জ শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি ডিএসইর জন্য আন্তর্জাতিকীকরণ, মানসম্পন্নকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন।
তিনি আরও বলেন, ডিএসই ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং কিছু সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- কৌশলগত বিনিয়োগকারীর অন্তর্ভুক্তি, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন এবং স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম বাস্তবায়ন ইত্যাদি। এটিবি (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড)-২০১৮ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের অন্তর্ভুক্তিতে প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রস্তাব বাস্তবায়নের ডিএসইর ব্যবস্থাপনা এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে কাজ করছে।
এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের একটিই লক্ষ্য ডিএসইকে এ অঞ্চলের মধ্যে নেতৃস্থানীয় স্টক এক্সচেঞ্জে পরিণত করা। সবার অব্যাহত সমর্থন, গঠনমূলক পরামর্শ নিয়েই সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বুলবুল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের এমডি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, এ্যাংকর সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও এমডি এ জেড এম নাজিম উদ্দিন, গ্রীনল্যান্ড ইকুইটিজের এমডি এম রাজিব আহসান, প্রুডেনসিয়াল সিকিউরিটিজের এমডি আহমাদুল হক, মডার্ন সিকিউরিটিজের এমডি খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, মোনা ফাইন্যান্সয়াল সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আহসানুল ইসলাম টিটু, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের এমডি আহমেদ রশিদ লালী, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেসের এমডি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, কাইয়ুম সিকিউরিটিজের এমডি নাঈম মো. কাইয়ুম, বালি সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও এমডি মো. শফিকুর রহমান, ডিএসই’র পরিচালক ও মিডওয়ে সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমান প্রমুখ।
এমএএস/জেএইচ/পিআর