ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৭তম দিন আজ (২৫ জানুয়ারি)। মেলা শুরুর পর তৃতীয় শুক্রবার (সাপ্তাহিক ছুটির দিন)। মেলার বেশিরভাগ দিন পেরিয়ে যাওয়া ও সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় আজ সকাল থেকেই ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পশ্চিম ট্রাফিক বিভাগ। ২৫ জানুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তারা জানান, মেলা ১০টা থেকে শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকেই গাড়ির চাপ বাড়ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এই অবস্থা।

Commerce Fair

এদিন বেলা ১১টার পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী চন্দ্রিমা উদ্যানের ফুটপাত থেকেই সারিবদ্ধভাবে দর্শনার্থীদের আসতে দেখা যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ভিড়ের কারণে আতঙ্কও লক্ষ্য করা যায়। এক দর্শনার্থী হাঁটতে হাঁটতে তার সঙ্গীকে বলেন, ‘আমি বলছিলাম, আরও সকালে আসতে। আরও সকালে আসলে আরেকটু কম ভিড় থাকত।’

মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, সেখানে যানজট লেগেই আছে। এ কারণে মেলার মূল ফটক পর্যন্ত না গিয়েই অনেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনেই নেমে যাচ্ছেন।

Commerce Fair

দর্শনার্থীরা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আজ তারা পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। সপ্তাহের কর্মদিবসে এই সুযোগ হয় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদেরও মেলায় উপস্থিতি লক্ষণীয়।

মেলা শুরুর পর ১১ জানুয়ারি ছিল প্রথম শুক্রবার। সেদিন দর্শনার্থীদের ভিড় থাকলেও সেটা ছিল মেলার ধারণক্ষমতার তুলনায় স্বাভাবিক। এরপর ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় শুক্রবার দর্শনার্থীদের চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। বিকেল ৩টার পর থেকে মেলা কর্তৃপক্ষকে বারবার মাইকে ঘোষণা করতে শোনা যায়, ‘বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়ছে। যাদের মেলা দেখা ও কেনাকাটা শেষ হয়েছে তারা বেরিয়ে যান।’ দীর্ঘক্ষণ মেলায় না থাকার জন্য সন্ধ্যার পরও এভাবে ঘোষণা করতে শোনা যায় মেলা কর্তৃপক্ষকে।

প্রদীপ দাস/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।