রাজস্ব ব্যবস্থার অনেক সংস্কার হয়েছে আরও দরকার : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ইতোমধ্যে রাজস্ব ব্যবস্থার অনেক সংস্কার হয়েছে। আরও সংস্কার প্রয়োজন। সবক্ষেত্রে দরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আমাদের চাহিদা অনেক। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এ চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হব না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সভা কক্ষে সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বিদায়ী শুভেচ্ছা এবং নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ওই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুস্তফা কামাল বলেন, গত ১০ বছরে এনবিআরে প্রচুর সংস্কার হয়েছে। এ জন্য ৫৪ হাজার কোটি থেকে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভাব হচ্ছে। তবে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা পৃথিবীর ২০তম অর্থনীতি দেশে রূপান্তরিত হতে চায়। তাই আমাদের আরও বেশি রাজস্ব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আরও সংস্কার প্রয়োজন।

নতুন এ অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ৫৩৮ মর্কিন ডলার থেকে ১ হাজার ৭৫১ ডলারে পৌঁছেছে। দশ বছরে সারাবিশ্বে অর্থনীতির দিক দিয়ে ১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে ৫৮ থেকে ৪১তমতে উন্নীত হয়েছে। এ মুহূর্তে বিশ্বের ধনী ২০ দেশের সংগঠন ‘জি-২০’ এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা কিছুই জানি না। আমরা সবাই চেষ্টা করলে আগামী ২০৪১ সালে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলে ‘জি-২০’ অন্তর্ভুক্ত হতে পারব।

শিক্ষার গুণগত মানের পরিবর্তন দরকার বলেও মনে করেন তিনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিষয়ে তিনি বলেন, মুহিত ভাই খুব স্পষ্টবাদী ও সজ্জন ব্যক্তি। গত দশ বছরে যে অর্থনৈতিক উন্নয় হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুহিত ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, মুহিত ভাই অবসরে যাওয়ার আগেই বলেছিলেন, তার উত্তরসূরীদের দিক নির্দেশনা দিয়ে যাবেন। আশা করি, তার দিক নির্দেশনা পাব এবং সেই দিক নির্দেশনা মোতাবেক আগামীতে পথ চলব।

অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এনবিআরের সদস্য, সিনিয়র কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমইউএইচ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।