মাস্টারকার্ডকে ৫৭০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

ক্রেডিট কার্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ডকে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ৫৭০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

পণ্য ক্রয়ে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের (রিটেইলার) স্বল্পতর পেমেন্ট ফি’র সুবিধা আটকে রাখার পুরনো নীতির জন্য প্রতিষ্ঠানটির এ জরিমানা করা হয়।

ইউরোপের বাজারে ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির পেমেন্ট ফি পলিসির কারণে কার্ড ব্যবহারে ক্রেতা, বিক্রেতাদের প্রয়োজনের তুলনায় চড়া ফি দিতে হয়েছে।

ইউরোপিয়ান কমিশন বলেছে, মাস্টারকার্ডের কার্যক্রমে ইউরোপ ব্লকের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত মাস্টারকার্ডের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাংক ফি’র হারে পেমেন্ট দিতে বাধ্য হয়েছে। স্বল্পতর হারের ব্যাংক ফি আছে, ইউরোপের এমন দেশগুলোয় লেনদেনের ক্ষেত্রেও সেখানকার হারের বদলে নিজ দেশে বিদ্যমান ব্যাংক রেট দিতে হয়েছে।

ইইউ’র প্রতিযোগিতাবিষয়ক কমিশনার মারগ্রেথ ভেস্তাগার বলেন, ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ব্যাংকগুলোর দেয়া স্বল্প রেটে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের নিরুৎসাহিত করায় মাস্টারকার্ডের নীতি কৃত্রিমভাবে কার্ড পেমেন্টের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ইইউ’র ভোক্তা আর বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

একজন ক্রেতা যখন একটি দোকানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করেন, তখন ওই দোকানের ব্যাংক কার্ডহোল্ডারের ব্যাংকে একটি ফি প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠান তখন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের ওই দোকানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফি পাঠিয়ে দেয়, যা শেষমেশ ক্রেতার খরচ বাড়িয়ে দেয়।

২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত এই লেনদেন ফি (ইন্টারচেঞ্জ ফি) ইউরোপজুড়ে স্থানভেদে নানারকম ছিল। কিন্তু সেসময় মাস্টারকার্ডের যে নিয়ম বহাল ছিল, সে অনুযায়ী যে ব্যাংক কার্ড পেমেন্ট গ্রহণ করছে সেই ব্যাংকের উৎস দেশের বিদ্যমান হার ফিতে প্রযোজ্য হতো।

ইইউ কমিশনার বলেন, ফলে ভোক্তা ও বিক্রেতাদের জন্য পণ্যের মূল্য বেড়ে যেত। ব্যহত হতো ইউরোপের বাজারে আন্ত সীমান্ত প্রতিযোগিতা। আর তা অভিন্ন বাজারে কৃত্রিমভাবে শ্রেণিকরণ তৈরি করে।

কমিশন জরিমানার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে বলেছে, ‘কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মাস্টারকার্ডের নিয়মের ফলে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প ফি থেকে মুনাফা করতে পারেনি। এটি ইইউ ব্লকের দেশগুলোর বাজারে প্রতিযোগিতাকে সীমিত করেছে।

কমিশন এও উল্লেখ করেছে যে, ইন্টারচেঞ্জ ফি রেগুলেশন বা লেনদেন ফি নিয়ন্ত্রণ চালু হওয়ার পর মাস্টারকার্ড তাদের নিয়ম পরিবর্তন করলে চর্চাটি বন্ধ হয়।

জরিমানার অঙ্ক আরও বেশি হওয়ার কথা থাকলেও মাস্টারকার্ডের সহযোগিতাপূর্ণ আচরণের কারণে জরিমানা ১০ শতাংশ লাঘব করেছে ব্রাসেলস।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

এমবিআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।