শিগগিরই ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়া যাবে
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল রেললাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টকে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কবে নাগাদ জনগণ রেলে কক্সবাজার যেতে পারবে এমন প্রশ্নে করে হলে মজা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় আগামীকাল যেতে পারবেন।’ কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো আগামীকালের ডেফিনেশন দেইনি।’
পরে তিনি বলেন, অতি দ্রুত যাওয়া যাবে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মূল সমস্যা ছিল ভূমি অধিগ্রহণ। প্রয়োজনীয় জমি আমরা পেয়েছি। কাজও শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে এ প্রকল্পটি শেষ করার কথা। আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই এটি শেষ হবে।
জানা গেছে, এ প্রকল্প দুই ধাপে বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে রামু থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। ডুয়েল গেজের রেললাইনটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাবে এখানকার অর্থনৈতিক চিত্র। আমূল পরিবর্তন ঘটবে যোগাযোগ ব্যবস্থায়।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ রয়েছে। দশ মেগা প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম। এডিবির অর্থায়নে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করা সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১০ সালের ৬ জুলাই। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারবাসীর স্বপ্নের রেলপথের এই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশি-বিদেশি তিনটি কোম্পানির সঙ্গে রেলপথ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে। এ প্রকল্পের জন্য প্রায় দেড় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি
এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি