চীনের কাছে ১ লাখ কেজি চুল বেচেছে পাকিস্তান

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

একটি দেশে অন্য কোনো দেশে চাল রফতানি করছে সিমেন্ট করছে বা চা রফতানি করছে। এসব খবর হরহামেশাই মেলে গণমাধ্যমগুলোতে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এসব রফতানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে গেল কয়েকবছরে পাকিস্তান এমন একটি পণ্য রফতানি করে আসছে যা রফতানির খবর সচরাচর শোনা যায় না। আর তা হলো মাথার চুল।

পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসেই দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশের আর্থিক অচলাবস্থা কাটাতে বিভিন্নরকমভাবে এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। এমন অবস্থায় পাক সরকার জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে চীনে মাথার চুল রফতানি করে বিপুল মুনাফা হয়েছে ইসলামাবাদের। লাভের পরিমাণ প্রায় এক কোটির কাছাকাছি এবং রফতানি করা চুলের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কেজি।

সম্প্রতি পাকিস্তানের সংসদে এই হিসাব দিয়েছে সরকারের বাণিজ্য ও বস্ত্র দফতর। পাকিস্তানের সব সময়ের বন্ধু চীন। ভাল হোক বা খারাপ, সব সময়ই ইসলামাবাদের পাশে রয়েছে বেইজিং।

জানা গেছে, গত কয়েক বছরে ধারে-ভারে অনেকটাই বেড়েছে চীনের কসমেটিক্স ইন্ডাস্ট্রি। স্টাইল ও ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে সে দেশের মানুষের। বাজার বড় আকার ধারণ করার ফলে বেড়ে গেছে ‘উইগ’ বা ‘পরচুলে’র ব্যবহারও।

উচ্চমানের ওই সমস্ত পরচুল তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সাধারণ মানুষের চুল। নিজের দেশের মানুষের চুল দিয়েও, যার জোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বেইজিং। তাই এক্ষেত্রে অনেকটা পাকিস্তানের দ্বারা লাভবান হয়েছে তারা।

মোটা টাকার বিনিময়ে পাকিস্তান থেকে চুল পৌঁছে যাচ্ছে চীনের কসমেটিক্স ইন্ডাস্ট্রির হাতে। হিসাব বলছে গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬১ কেজি চুল রফতানি হয়েছে চীনে; যার মূল্য আনুমানিক এক লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৯৪ লক্ষ টাকারও বেশি। কেবলমাত্র চীনেই নয়, বিভিন্ন পার্লার থেকে ৫ হাজার ও ৬ হাজার টাকা কেজি দরে চুল কিনে, সেই চুল যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেও রফতানি করছে পাকিস্তান।

এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।