মেলায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা, ভোগান্তি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর শেরে বাংলানগরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বড় বড় স্টলের সামনে চলছে ছোটখাটো ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা। আইসক্রিম, ঝালমুড়ি, চানাচুরসহ হরেক রকম খাবার বিক্রেতায় ভরে গেছে মেলার মাঠ। ছুটির দিনে শুক্রবার ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়ে এসব ছোটখাটো ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের স্রোতে মেলায় তিল ধারণের যখন ঠাঁই ছিল না তখন এসব দোকানির কারণে ক্রেতা-দর্শনার্থীর হাঁটতে চলতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়।

শুক্রবার ছিল ২৪তম এই মেলার দশম দিন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে বাণিজ্য মেলার মূল ফটকের সামনেসহ সর্বত্র ছিল ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।

মেলায় আগত দর্শনার্থী মোহাম্মদ হাদী। এসেছেন উত্তরার আশকোনা থেকে। ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে হাদী জানান, একজন হকারই তাকে অন্তত ২০ বার বলেছেন, ‘স্যার বেলুন লাগবে?’

মোহাম্মদ হাদীর মতে অন্তত ছুটির দিনের ভিড়ে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী বা হকারদের প্রবেশ বন্ধ রাখা উচিত।

trade-fair-2

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবারের বাণিজ্য মেলা আট দিন পিছিয়ে গত ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলা শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।

মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। এবার প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়াও অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে এবারের মেলার টিকিট।

মেলায় এবার প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল রয়েছে ৪১২টি।

বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের মোট ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। দেশগুলো হলো- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

আরএম/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।