চারকোল উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে কাজ করবে সরকার
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল (পাটকাঠি থেকে কয়লা) বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। কৃষকরা পাট উৎপাদন করে আগের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন। ফলে দিনদিন পাট চাষ ও উৎপাদনে কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন।
‘চারকোল উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহয়তা করবে সরকার’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাট থেকে এ ধরনের যত বেশি বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে তত দ্রুত সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সভায় চারকোলের বিষয়ে জানানো হয়, দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল (অ্যাক্টিভেটেড চারকোল) উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথম চীনে এ পণ্য রফতানি হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপতি বাড়লে আগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুর্কিস্থান, যুক্তরাষ্ট্র, দ. কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি সম্ভব হবে।
বর্তমানে বিদেশে চারকোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফেস ওয়াস, ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং দাঁত পরিষ্কারের ওষধ। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০-১২টি চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বর্তমানে জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে।
চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চারকোলের এ অবারিত সম্ভাবনার কথা উপস্থাপন করা হয়। দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা বিদেশে রফতানি করে প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং দিনদিন যা বৃদ্ধি পাবে।
এমইউএইচ/এমএআর/এমকেএইচ