বাণিজ্য মেলায় ১০ হাজার টাকার কাঁথা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০ হাজার টাকা দামের কাঁথা এনেছে ‘শতদল হস্তশিল্প’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। হাতের সুনিপুণ কারুকাজে তৈরি এ নকশি কাঁথা পাওয়া যাচ্ছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের প্যাভিলিয়নে।

মেলার পূর্ব দিকের গেট বা ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে কিছুটা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলে এ প্যাভিলিয়নটি দেখা যাবে। আর প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করলে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে গিয়ে প্যাভিলিয়নটি পাওয়া যাবে।

প্যাভিলিয়নে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এসব পণ্যের সিংহভাগই হাতের কারুকাজ করা। এরই একটি শতদল হস্তশিল্প। এ প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা মাকসুদা হাসনাত।

শতদল হস্তশিল্প স্টলটির সামনে গিয়ে দেখা যায়, স্টলের একটি ওয়ালের ওপর লম্বা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে লাল রঙের একটি নকশি কাঁথা। এর পাশে রাখা হয়েছে বিভিন্ন নকশি কাঁথা। তার পাশেই সারিসারি শোভা পাচ্ছে থ্রি-পিস, টু-পিস, ওয়ান পিস, কোটিসহ নানা ধরনের বাহারি পোশাক। এসব পোশাকের বেশির ভাগেই রয়েছে হাতের কারুকাজ।

স্টলে কথা হয় বিক্রিয় কর্মী মো. নিরবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্টলে আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দামের নকশি কাঁথা আছে। একই মাপের প্রতিটি কাঁথাতেই আগা-গোড়া হাতের কাজ করা। তবে ডিজাইন ও কাজের তারতম্য আছে। কাজের ওপর নির্ভর করেই কাঁথার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু কাঁথা নয় হাতের কাজ করা বিভিন্ন থ্রি-পিস, টু-পিস, কোটিও বিক্রি করি। মানের ওপর নির্ভর করে থ্রি-পিস ১১০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতিটি পোশাকের রঙে গ্যারান্টি দেয়া হয়। কোনো প্রকার রঙ উঠলে যাতায়াত ভাড়াসহ পোশাকের মূল্য ফেরত দেয়া হবে।’

স্টলের সামনে কথা হয় সায়মা খাতুন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্টলের নকশি কাঁথাগুলো অনেক সুন্দর। তবে দাম অনেক বেশি। আবার যেগুলোর দাম কম সেগুলোতে অনেক কাজ করা থাকলেও তত সুন্দর দেখাচ্ছে না। ১০ হাজার টাকা যে কাঁথাটি দাম চাচ্ছে তার দাম চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা হলে ভালো হতো।’

এমএএস/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।