‘ঋণ খেলাপিদের ধরতে দ্রুত ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন খুব দ্রুত সংশোধন করা হবে যাতে ঋণ খেলাপিরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।

তিনি বলেন, প্রথমতঃ প্রধানমন্ত্রীর ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে আমরা ব্যাংক কোম্পানি আইনটি সংশোধন ও পরিমার্জন করব। এছাড়া বিধি পরিবর্তন ও কেন খেলাপি ঋণ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ।

তিনি আরও বলেন, আপাতত ব্যাংকিং কমিশন করার দরকার নাই। কারণ দেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতাগুলো আমরা ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করতে পেরেছি।

বুধবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও কর্মকতাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন

অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু আইনে বিচ্যুতি আছে। আমরা সেই আইনগুলো সংশোধন করব। আমাদের নন পারফরমিং লোন যেনো বিপুল পরিমাণ কমে আসে আমরা সেইভাবে আইনগুলো পরিবর্তন করব। ঋণ খেলাপিরা খুব সহজেই আইনের দুর্বলতার সুযোগে হাইকোর্টে চলে যেতে পারে যার ফলে ঋণ খেলাপি ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। যা যে কোনো দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটা ভালো বিষয় না।

তিনি বলেন, সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হলে দেশের জনগণ অর্থ বেহাত হয়ে যায়। আমার দেশের জনগণের অর্থ বেহাত হোক এটা আমরা চাই না। যে কোনো ব্যক্তিই সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নেক না কেন তাকে ঠিক সময়ে ফেরত দিতে হবে ।

মন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পর্যাপ্ত জনবল নেই। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলো থেকে জনবল নিয়ে এসে এ প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়। এর ফলে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের কোনো জবাবদিহিতা নেই। নিজের জনবল নিয়োগ করতে পারলে দেশের জনগণের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জনবলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারব।

কামাল বলেন, সরকারি কর্মকর্তা যদি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হওয়ার ক্ষেত্রে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা দ্বিধাবোধ করব না ।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে উন্নয়নের জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সবাইকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। এছাড়া নতুন টেকনোলজি গ্রহণ করতে হবে ।

এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।