বেক্সিমকো সিনথেটিক নিয়ে ডিএসইর সতর্ক বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯

দীর্ঘ দিন ধরে লোকসানে নিমজ্জিত 'জেড' গ্রুপের কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিকের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা দিয়েছে। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার এ সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে তারা।

ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ৬ জানুয়ারি নোটিশ পাঠানো হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বরের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম টানা বেড়েছে। ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ৬ জানুয়ারি ১০ টাকায় পৌঁছায়। অর্থাৎ চার কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা।

এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয় এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। সে কারণে ২০১২ সালের পর থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠানটি কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে পুঁজিবাজারের পচা কোম্পানি বা 'জেড' গ্রুপে স্থান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

বিগত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৭ পয়সা। এর আগে ২০১৪ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৩১ পয়সা। এছাড়া ২০১৫ সালে ৮১ পয়সা এবং ২০১৬ সালে ১ টাকা ১৮ পয়সা শেয়ার প্রতি লোকসান হয়। আর ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ২ টাকা ৬২ পয়সা।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫১ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার।

এমএএস/এমএমজেড/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।