রানারের আইপিও আবেদন শুরু ৩১ জানুয়ারি
চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন শুরু হবে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিটির শেয়ার পেতে ওই দিন থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।
গবেষণা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে গত বছরের ১০ জুলাই রানার অটোমোবাইলসকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করার লক্ষ্যে বিডিংয়ের (নিলাম) অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়ে গত বছরের ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টা বিডিংয়ে সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে ৭৫ টাকা কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করেন। ফলে আইপিও মূল্য নির্ধারিত হয় ৬৮ টাকা।
আর কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৭৫ টাকা। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা ৭২ ঘণ্টার বিডিংয়ে (নিলাম) অংশগ্রহণ করে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এ মূল্য নির্ধারণ করেছেন।
রানার অটোমোবাইলস পুঁজিবাজার থেকে যে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করছে তার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনের জন্য রাখা হয় ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার।
এখন এই পরিমাণ অর্থ বা প্রায় ৫৫ লাখ ১৫ হাজার শেয়ারের জন্য আইপিওতে আবেদন করবেন শেয়ারবাজারের প্রায় ২৮ লাখ বিনিয়োগকারী। এর আগে কোম্পানিটির শেয়ার পেতে বিডিংয়ে ৫৯২ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশ নেন। এ বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ টাকার মধ্যে দর প্রস্তাব করেন।
এরমধ্যে ৫০ টাকা দরে সবচেয়ে বেশি ১২৩ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী দর প্রস্তাব করেন। এই ১২৩ জন বিনিয়োগকারী ২ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব দেন। এরপরে ৫৫ টাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেন ৭৮ জন বিনিয়োগকারী এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ জন ৬০ টাকা করে প্রস্তাব দেন।
তবে ৭২ ঘণ্টার বিডিংয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা থেকে ৭৫ টাকার প্রস্তাবিত দরের মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ারের প্রস্তাব চলে আসে। যে কারণে বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৭৫ টাকা।
কাট-অফ প্রাইস ৭৫ টাকা নির্ধারিত হওয়ায় এর থেকে ১০ শতাংশ কমে আইপিও’র মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এ হিসাবে আইপিওতে প্রতিটি শেয়ারের দাম হয় ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা।
কিন্তু পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে কোনো ক্ষুদ্রাংশ বা পয়সা থাকবে না। ফলে রানারের ক্ষুদ্রাংশ দশমিকের পরে ৫ এর ঘরে যাওয়ায়, আইপিও দাম ৬৮ টাকা নির্ধারিত হবে। আইপিও’র মাধ্যমে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ছাড়বে রানার অটোমোবাইলস।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সারের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ নিট শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং পুর্নমূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ৪১ টাকা ৯৪ পয়সা। আর কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম