রেমিট্যান্সে রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। সদ্যসমাপ্ত ২০১৮ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৫৫৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০৪ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বিদায় বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১২৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের মাস নভেম্বরে ১১৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যেখানে গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১১৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ শুধু বছর হিসাবেই নয়, একক মাসের হিসাবেও রেমিট্যান্স বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইলে হন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়িসহ নানা উদ্যোগের কারণে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্সপ্রবাহ। এছাড়া ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালে এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ছিল এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৭৪৯ কোটি ৬৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৯৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এসআই/জেএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।