বছরের শেষ কার্যদিবস, ব্যাংকে লেনদেনের হিড়িক
জাতীয় নির্বাচন, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডের কারণে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। ফলে ২০১৮ সালের শেষ ব্যাংক লেনদেন হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার)। তাই শেষ কার্যদিবসে প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে সব ব্যাংকেই ভিড় করেছেন গ্রাহকরা। প্রতিটি শাখায় রয়েছে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। অন্যদিকে গ্রাহক সেবা ও বার্ষিক হিসাব মেলাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণ, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চার দিন দেশের সব ব্যাংক ও ব্যাংক বর্হিভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি খুলবে ব্যাংক।
এদিকে টানা ছুটি ও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে ২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) চলতি বছরের ব্যাংকের বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণের দিন দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। ওই দুইদিন সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ভোটের পরদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশের ব্যাংকগুলো ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করবে। ওইদিন সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। এ হিসেবে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন দেশের কোনো ব্যাংকেই লেনদেন হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক নিজাম উাদ্দন আহমেদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডের কারণে আজই (২৭ ডিসেম্বর) বছরের শেষ লেনদেন। এরপর টানা চারদিন লেনদেন হবে না। নির্বাচন, টানা ছুটি, ব্যাংক ক্লোজিং সব মিলিয়ে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি লেনদেন হচ্ছে। সকাল থেকে গ্রাহকের ভিড় রয়েছে।
তিনি বলেন, আজ ব্যাংক ক্লোজিং হিসাব হচ্ছে। বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব চূড়ান্ত করতে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হবে। তাই কর্মকর্তারা সবাই ব্যস্ত।
এদিকে সোনালী ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, টানা চার দিন ব্যাংক লেনদেন হবে না। ১ তারিখের আগে ব্যাংক খুলবে না। তাই ব্যবসার প্রয়োজনে নগদ টাকা তুলতে এসেছি।
এদিকে রাজধানীর এনসিসি ব্যাংকের নবাবপুর শাখার এক কর্মী জানান, পুরো ডিসেম্বর মাসই ব্যস্ততায় পার করতে হচ্ছে। আজ সকাল থেকেই গ্রাহকদের ভিড়। দম ফেলারও সময় নেই। টাকা জমা দেয়া উত্তোলন দুটোর পরিমাণই বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা ব্যাংক ক্লোজিং নিয়ে।
এসআই/এমএমজেড/এমকেএইচ