প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ জন্য সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর শেরে-ই-বাংলানগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানড্যান চেন।

চুক্তি শেষে মনোয়ার আহমেদ বলেন, এটা কোনো একক প্রকল্প নয়। এটি সার্বিকভাবে প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বেড়েছে। তাছাড়া বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যাতে দ্রুত হয় এজন্য নিয়মিত বৈঠকসহ মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ধীর গতির প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়াতে এবং প্রকল্প তদারকির ক্ষেত্রে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি রয়েছে। যেটির প্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

ডানড্যান চেন বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সুষম খাদ্য এবং উন্নত স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা দেয়ার মাধ্যমে পারিবারিক পর্যায়ে গবাদি পশুর স্বতন্ত্র উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ৫ হাজার ৫০০ উৎপাদক-সংগঠনকে প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করার মাধ্যমে ভ্যালু চেইন এবং মার্কেট লিংকেজ উন্নয়ন, নিরাপদ প্রাণিজ উৎপাদন ব্যবস্থা এবং মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রর্বতন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ বান্ধব প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, জ্ঞান প্লাটফর্ম এবং প্রাণিসম্পদ বীমা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন করা।

প্রকল্পটির ৪টি ধাপ রয়েছে, এগুলো হলো প্রোডাক্টটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট, মার্কেট লিংকেজ অ্যান্ড ভেলু চেইন ডেভলপমেন্ট, ইমপ্রুভিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট রিজিলাইনস অব লিভসস্টোক প্রোডাকশন সিস্টেম অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন। প্রকল্পটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট প্রাক্কলিত খরচ ৪ হাজার ২৮০ কোটি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের জন্য আইডিএ ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫০ কোটি ডলার। তবে বর্তমানে প্রকল্পটির জন্য ৪৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার ব্যবহার করা হবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের দেয়া ৫০ কোটি ডলার ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এ ক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

এমইউএইচ/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।