এখনো বাড়তি পেয়াজের দাম
মাত্র দুমাস আগে রমজানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেয়াজের কেজি ছিল ৩০-৪০ টাকায়। সেই পেয়াজের দাম এখন ৬০ থেকে ৭৫ টাকা। রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। দেশের বিভিন্নস্থানে অতিবৃষ্টির প্রভাবকেই পেয়াজের দরবৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৫ টাকায়। আর দেশি পেয়াজ ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জামাল হায়দার নামে এক চাকরিজীবী জাগো নিউজকে জানান, গত কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ টাকা করে বাড়ছে পেয়াজের দাম। বাজারে সিটি কর্পোরেশনের টাঙ্গানো মূল্য তালিকার সঙ্গে কোন পণ্যের বাজারদরের মিল নেই। এগুলো দেখার মতো কেউ নেই।
হাতিরপুল বাজারের পাইকারি পেয়াজ বিক্রেতা আরাফাত জাগো নিউজকে জানান, আন্তজার্তিক বাজারে প্রতিনিয়ত পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় টানা বৃষ্টিতে পেয়াজের কয়েকশ` একর ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
এদিকে বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশের সুপারশপগুলোতে। দেশি পেয়াজের কেজি প্রতি ৫৬ টাকা নিচ্ছে তারা। তবে এই মূল্য পেতে অবশ্য একসঙ্গে ৫ কেজি পেয়াজ কিনতে হচ্ছে।
খুচরা পেয়াজ বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে দেশের বাজারে আগের আমদানি করা পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে এর দাম বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নেই। তবে আমাদের কিছু করার নাই। আমরা বেশি দামে কিনি তাই বেশি দামে বিক্রি করি।
এদিকে বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে শশা, বেগুল, লেবু-পটলের দাম। প্রতি কেজি শশার বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, লেবু সাইজ অনুযায়ী হালি ১০-২০ টাকা। পটল ৫৫-৬০ এবং বেগুল ৫৫-৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি লাল আলুর দাম কেজি প্রতি ২৪-২৮ টাকা, পেঁপে ৩৮-৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০, লাউ ৪০-৫০ টাকা, সবুজ শাক আটি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এআর/আরএস/এমএস