এফবিসিসিআইয়ের ভিডিও কনফারেন্স নেটওয়ার্কিং উদ্বোধন
দেশের ৬৪ জেলা চেম্বারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ভিডিও কনফারেন্স নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম উদ্বোধন করছে এফবিসিসিআই। এতে সহযোগিতা করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এখনি ডটকম।
বুধবার মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের এফবিসিসিআইয়ের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রর্তিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, পরিচালকবৃন্দ,এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ, এফবিসিসিআইয়ের অধিভুক্ত জেলা চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, যথাযথ তথ্য প্রদান ও যোগাযোগের অভাবে জেলা চেম্বার গুলোর উন্নায়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ উদ্যোদের ফলে ৬৪ জেলাকে একই ছাতার নিচে আনা হল। এর মাধ্যমে জেলা চেম্বরগুলোর বিভিন্ন সমস্যা ও তাদের উদ্যোগগুলো এফবিসিসিইকে জানাতে পারবে। তাদের সময় ও টাকা ব্যয় করে ঢাকা আসতে হবে না।
তিনি বলেন, এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে। ফলে নিজেদের নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করতে পারবে। যার কারণে দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি রফতানি আয় দ্বিগুণ হবে।
বুধবার প্রথমিকভাবে রংপুর, নাটোর, টাংগাইল, সিলেটসহ ৬ জেলা চেম্বারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব জেলায় ভিডিও কনফারেন্স নেটওয়ার্কিং এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, দেশের সব ডাকঘর গুলোকে ই-সেন্ট্রলাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভিডিও কনফারেন্সের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে হাই স্পিড ইন্টানেট প্রয়োজন তা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ৬৪ জেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে ৬৪ জেলায় আর্ন অ্যান্ড পে প্রকল্প তৈরি করতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় নতুন উদ্যোক্তাদের সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক লোন দেয়ার জন্য কাজ করা হবে। এতে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে হলে ২০২১ সালে আইসিটি খাত মূল জিডিপিতে অংশগ্রহণ হবে ১ শতাংশ। একই সঙ্গে আইসিটি খাতে রফতানি আয় ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পূর্বে আইসিটি খাতে রফতানি আয় ছিল ২০ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এ আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
এসআই/এসএইচএস/আরআইপি