পতনের মধ্যেই ব্যাংক
ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেয়ারবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
রোববার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ২০টি ব্যাংকের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৭টির। বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমায় ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
তবে সব খাত মিলে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৮টির। আর ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৫৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা পাওয়ারের ৩৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসকে ট্রিমস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- সায়হাম কটন, ইফাদ অটোস, ওয়াটা কেমিক্যাল, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ফরচুন সুজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৮৬টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
এমএএস/এএইচ/এমএস