উৎসাহ উদ্দীপনায় আয়কর মেলায় সরব উপস্থিতি
উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে আয়কর মেলা। মেলার পঞ্চম দিন শনিবার সকালেই করদাতাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মেলা প্রাঙ্গণে চলছে অনেকটাই উৎসবের আমেজ।
মেলায় ঢুকলতেই চোখে পড়বে অনুসন্ধান ও তথ্য কেন্দ্র। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে যেতে হয় বিভিন্ন স্টলে। তারপর মিলবে কর সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা। সবাই তা’ই করছেন। বিশেষ করে যারা নতুন কর দিচ্ছেন তারা সবাই তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে যাচ্ছেন।
মেলায় আয়কর রিটার্ন জমা, নতুন ই-টিন খোলা কিংবা করসেবা দেয়াসহ সকল কাজই চলছে ক্লান্তিহীনভাবে। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছুটির দিনে অফিসের ব্যস্ততা না থাকায় আজ (শনিবার) মেলায় আয়কর দিচ্ছেন। নবমবারের মতো আয়োজিত রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়কর মেলার গতকাল শুক্রবারও ছিল প্রচন্ড ভিড়।
মেলায় প্রথমবারের মত রিটার্ন জমা দিয়েছেন সিএ ফার্মে কর্মরত সাইফুল ইসলাম। মিরপুরের এ বাসিন্দা বলেন, প্রথমবার রিটার্ন দাখিল করার আনন্দ অন্য রকম। রিটার্ন জমা দিতে সময়ই লাগেনি। এনবিআর কর্মকর্তারা খুব দ্রুত সেবা দিচ্ছেন।
আরেক তরুণ করদাতা উত্তম সিংহ বলেন, প্রথমবারের মতো কর দিয়ে বেশ ভালো লাগছে। মাত্র দুই মিনিটে রিটার্ন জমা দিয়েছি। এখানে সব কিছুই গোছাল।
ছুটির দিন হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও অন্যান্য পেশাজীবীদেরও মেলায় আসতে দেখা গেছে। মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন কর অঞ্চলের রিটার্ন গ্রহণ বুথ, হেল্প ডেস্ক, ব্যাংকের বুথ, ই-পেমেন্ট বুথ, ই-টিআইএন বুথসহ সব বুথে করদাতাদের ভিড়।
মতিঝিল থেকে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের কর বিবরণী জমা দিতে মেলায় এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা হামিদ শেখ। তিনি বলেন, প্রতিদিন অফিস শেষে মেলায় আসার সময় হয় না। ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলে চলে আসলাম। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় সেবার মান খুবই ভালো।
মেলায় কর সংক্রান্ত সব সেবাই সহজে মিলছে। মাত্র কয়েক মিনিটেই জমা দেওয়া যাচ্ছে আয়কর রিটার্ন। ব্যাংক বুথ ছাড়াও ই-পেমেন্টের মাধ্যমে অনলাইনেই জমা দেওয়া যাচ্ছে আয়কর। করা যাচ্ছে ই-ফাইলিংও। কর নিবন্ধন (ই-টিআইএন) নিতেও সময় লাগছে খুবই কম। বিড়ম্বনা ছাড়া সহজে আয়কর জমা দিতে পেরে সন্তুষ্ট করদাতারাও।
মেলার সমন্বয়ক ও এনবিআর সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মেলায় করদাতাদের সেবা নেওয়া, নিবন্ধন ও রিটার্ন জমা দেওয়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে। কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথেই মিলছে সমাধান।
এমএ/আরএস/এমএস