বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছেই
সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি রয়েছে, আগামীতে তা আরও বাড়তে পারে- এই আশাঙ্কায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বৃহস্পতিবার পরবর্তী মাসে সরবরাহের শর্তে জ্বালানি তেলের দাম আগের দিনের তুলনায় ২২ সেন্ট বা ০.৩ শতাংশ কমে ৬৫. ৯০ ডলার হয়েছে।
একই দিন মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড ওয়েলের দাম ৩০ সেন্ট কমে হয়েছে ৫৫.৯৫ ডলার।
গত মাসের (অক্টোবর) শুরু থেকে তেলের দাম প্রায় এক চতুর্থাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। কারণ সরবরাহ বাড়ায় অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি চাহিদা হ্রাসের সম্ভাবনাও বাড়ছে।
মার্কেটস অ্যানার্জি অ্যাডভাইসার্সের সভাপতি মাইক কার্লি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা হ্রাসের বিষয়ে আমারা এশিয়ান রিফাইনার্স এবং ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি বুধবার জানিয়েছে, চলতি বছরের (২০১৮) তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
একই সময় জাপান ও জার্মানির শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থনৈতিক সংকোচন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে বেড়েছে জ্বালানি তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুয়েড ওয়েলের উৎপাদন ২২ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ১১.৬ মিলিয়ন ব্যারেল হয়েছে।
ম্যারাটাস অ্যানার্জি অ্যাডভাইসার্স করলি রয়টার্সকে বলেন, এই মুহূর্তে উৎপাদনকারীদের বিক্রি করার চেয়ে অধিক ব্যারেল তেল মজুদ আছে।
২0১৪ সালে জ্বালানি তেলের দাম সীমার বাইরে চলে গেলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়।
এরপর ২০১৭ সাল নাগাদ দাম অনেক কমে যাওয়ায় বাজার পুনরোদ্ধারে উৎপাদন কমাতে সম্মত হয় ওপেক ও রাশিয়া। ফলে চলতি বছরের প্রথমার্ধে অপরিশোধিত দাম কিছুটা বৃদ্ধিপায়।
তবে বিশ্বব্যাপী মন্দা, চীনের প্রবৃদ্ধি হ্রাস, জাপান ও জার্মানিতে চাহিদা কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে।
এমএমজেড/আরআইপি