হিমায়িত খাবার নিয়ে ফুডপ্রোতে ইউরো ফুড
ঝামেলা কম, সময় বাঁচে। খাবারের স্বাদও ভালো। ফলে রাজধানীতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হিমায়িত খাবার বা তৈরি খাবার। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের একটি অংশ রান্নার ঝামেলা এড়াতে হিমায়িত খাবারের ওপর অনেকটাই নির্ভর হয়ে পড়ছেন।
কর্মব্যস্ত মানুষের এ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন হিমায়িত খাবার বাজারজাত করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বড় বড় শিল্পগ্রুপও রয়েছে। সকাল-বিকেলের নাশতা রুটি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, পুরি, রোল, নাগেটস, চিকেন সসেজ, মিটবল, স্প্রিংরোলের পাশাপাশি মাছ, মাংসসহ প্রায় সব ধরনের খাবার সরবরাহ করছে এসব প্রতিষ্ঠান।
ফলে ব্যস্ত জীবনে অফিস, বাসা, বাজার করার ঝামেলা অনেকটাই কমে আসছে। আর বাসায় সাধারণভাবে তৈরি করা খাবারের তুলনায় এসব হিমায়িত খাবারের স্বাদ ভালো। ফলে সুস্বাদু খাবার দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রেও অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন কর্মব্যস্তরা।
বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত খাবার সরবরাহ করা এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ইউরো ফুড। ‘৬ষ্ঠ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮’ শীর্ষক মেলাতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিভিন্ন হিমায়িত খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
এসব খাবারের মধ্যে আছে আলু পুরি, ডাল পুরি, ভাপা পিঠা, রোল, শিঙাড়া, সমুচা, চিকেন নাগেটসহ বিভিন্ন ধরনে ফাস্ট ফুড। আছে হিমায়িত বিভিন্ন ধরনে মাছ। এমনকি সবজিও বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কথা হয় ইউরো ফুডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার জিহাদুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আশুলিয়ায় আমাদের প্রধান কার্যালয়। অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশেও আমরা আমাদের পণ্য রফতানি করে থাকি। হিমায়িত বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি পটল, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আমরা রফতানি করি।
কীভাবে রফতানি কার্যক্রম চালান? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা যেসব দেশে পণ্য রফতানি করি ওই দেশে আমাদের প্রতিনিধি আছে। তারা বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার সংগ্রহ করেন। সেই অর্ডার অনুযায়ী আমরা পণ্য সরবরাহ করি।
মেলায় আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। দর্শনার্থী হিসেবেও বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও আছেন। দেশি-বিদেশিদের কাছে আমাদের পণ্যের পরিচিত বাড়াতেই এ মেলায় অংশ নেয়ার মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি কেউ চাইলে মেলা থেকে আমাদের পণ্য কিনেও নিতে পারবেন।
তিন দিনের মেলায় কেমন সাড়া পেয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আমাদের পণ্য কিনছেন। অনেকে একাধিকবার আমাদের পণ্য কিনেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের পণ্যের মান ভালো।
প্রতিষ্ঠানটির স্টল থেকে সমুচা কেনা ফারজানা বলেন, হোটেল বিক্রি করা খাবারের তুলনায় হিমায়িত খাবার কিনে নিয়ে বাসায় তৈরি করে খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এতে ঝামেলাও কম। আমার বাচ্চারাও এসব খাবার পছন্দ করে। তাই মেলায় ঘুরতে এসে এখান থেকে কিছু খাদ্য কিনলাম। আগে কখনও এ প্রতিষ্ঠানের খাবার কিনিনি। বাসায় নিয়ে দেখি স্বাদ কেমন।
এমএএস/এসএইচএস/জেআইএম