৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৭৩৬টি ফ্ল্যাট তৈরি করবে রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

মালয়েশিয়া সরকারের কারিগরি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ডিজাইন বিল্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ১০৪টি ভবনে ৮৭৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ ভবনগুলো নির্মাণের কাজ পেয়েছে রেডটেন ইনস্ট্রাকশন লিমিডেট।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুপস্থিতিতে আজকের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘বি ও সি’ ব্লকে ১৬-তলা বিশিষ্ট (১টি বেইসমেন্টসহ) ১০৪টি ভবনে মোট ৮ হাজার ৭৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ৫২টি ভবনে ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ৪৩৮টি ফ্ল্যাট এবং ৫২টি ভবনে ৮৫০ বর্গফুট আয়তনের ৪ হাজার ৩৮৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে।

তিনি বলেন, ‘জি-টু-জি’ ভিত্তিতে মালয়েশিয়া সরকারের কারিগরি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ডিজাইন বিল্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে এসব ভবন নির্মাণ হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫০৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ ভবনগুলো নির্মাণের কাজ পেয়েছে রেডটেন ইনস্ট্রাকশন লিমিডেট।

জানা গেছে, এসব ফ্ল্যাট নির্মাণে ২ বছরের মতো সময় লাগবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে একটি ভবনের ছাদ করতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে সেখানে ‘আইবিএস’ পদ্ধতিতে সেই ভবনের ছাদ করতে ১০-১২ দিন সময় লাগবে। এটা একটি নতুন প্রযুক্তি। এটি বাংলাদেশে এই প্রথম প্রবেশ করবে। শুধু তাই নয় এর ছাদ নির্মিত হলে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে পানির কোনো সমস্যা না হয়।

এই প্রকল্পে স্কুল এবং কলেজ থাকবে, থাকবে কনভেনশন সেন্টার। এসটিপি অর্থাৎ সুয়েরেজ সিস্টেম প্লান থাকবে। খেলার মাঠ এবং গ্রীণ স্পেস এবং সোলার প্লান্ট থাকবে। অর্থাৎ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মিত হবে।

রাজউক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালে সবার জন্য বাসস্থান। সে আদর্শে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই রাজউক কাজ করছে। ভালো একটা নতুন প্রযুক্তি বাংলাদেশে আসছে। এর আগে এ প্রযুক্তি বাংলাদেশে আসেনি।

সূত্র জানায়, বিদেশি কোম্পানিটি এতে বিনিয়োগ করছে। তবে ২-৩ বছরের মধ্যে কোনো পেমেন্ট নেবে না। ফেস টু ফেস পেমেন্ট করতে হবে। এ প্রকল্পটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশেষ করে এটি মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য খুব ভালো একটি প্রকল্প। ১৬ তলা বিশিষ্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট হস্তান্তর অতি দ্রুত হবে।

এমইউএইচ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।