চাহিদার ৭০ ভাগ মধুই আমদানির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশে আনুমানিক ২৫ হাজার মৌচাষি আছেন এবং বছরে ৩ হাজার টন মধু উৎপাদিত হয়। তবে, দেশে মধুর চহিদা আরও অনেক বেশি। ফলে চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ মধু আমদনি করা হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর পুরনো পল্টনে অবস্থিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশি মধু ব্র্যান্ডিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং প্রিজম প্রকল্প। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রিজম প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট মাতেজা ডামেস্টিয়া। মূল প্রবন্ধে মধুর বৈশ্বিক উৎপাদন-বাজার, বাংলাদেশে মধু চাষ এবং এর উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরা হয়।

ERF

মাতেজা ডামেস্টিয়া বলেন, বাংলাদেশের মৌচাষি দিয়ে বছরে ২৫ হাজার টন থেকে এক লাখ টন পর্যন্ত মধু উৎপাদন করা সম্ভব। এর জন্য মধু উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করাতে পৃথক পৃথক ব্র্যান্ডিং না করে বাংলাদেশি মধু বা মেইড ইন বাংলাদেশ নামে ব্র্যান্ডিং করার পরামর্শ দেন তিনি।

কর্মশালায় বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ট টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) সহকারী পরিচালক এসএম আবু সায়েদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সলিম উল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খন্দকার শরিফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুহুল আমিন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাখওয়াত হোসেন এবং প্রিজম প্রকল্পের পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান ও প্রকল্পের টিমলিডার আলী সাবেত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএএস/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।