আরও একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন


প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৪

দেশের গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে আরও একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তহবিলটি পরিচালিত হবে। তফসিলভুক্ত সব শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনটিতে তহবিল ব্যবহারের যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাত এবং নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের জন্য এ তহবিল ব্যবহৃত হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, এ তহবিল ব্যবহার করতে পারবে শুধুমাত্র ইসলামিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কৃষিজাতপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও পরিবেশবান্ধব খাতে অর্থায়ন করা যাবে এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, এ তহবিলে ৩ মাস মেয়াদী নবায়নযোগ্য বিনিয়োগ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের বিনিয়োগ ইসলামিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণের আবশ্যকতা বা এসএলআর পূরণযোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ তহবিলের মুনাফা বা মার্কআপের হার নির্ধারণ করা হয়েছে আবেদনকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের বিদ্যমান মুনাফার হার অথবা ৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম সেটির ভিত্তিতে। তহবিল থেকে অর্জিত সম্পূর্ণ মুনাফা তহবিল যোগানদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তাদের বিনিয়োগ স্থিতির অনুপাত অনুযায়ী বণ্ট্ন করা হবে। আর তহবিলটি পরিচালনা করা সত্ত্বেও তহবিল থেকে কোন মুনাফা বা আয় নেবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণে আগ্রহী ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণি বিন্যাসিত বিনিয়োগের হার ১০ শতাংশের নিচে থাকতে হবে, নির্ধারিত হারে মূলধন পর্যাপ্ততা এবং একক গ্রাহক বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সুবিধার সর্বোচ্চ সীমা সংক্রান্ত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

কৃষিভিত্তিক শিল্পে অর্থায়নের শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, তহবিলের আওতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের বিপরীতে শতভাগ তহবিল সুবিধা প্রদান করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এসব প্রতিষ্ঠানকে বিভাগীয় সদর ও নারায়নগঞ্জ শহরের বাইরে অবস্থিত হতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন পূর্ববর্তী বিদ্যমান স্থায়ী সম্পদের (ভূমি ও ইমারত ব্যতীত) পরিমাণ ১০ কোটি টাকা বা এর কম হতে হবে। এ তহবিলের আওতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়ন প্রদান করা হবে।

ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানসমূহ এ তহবিল থেকে তাদের অনুমোদিত চলতি মূলধন ও মেয়াদি বিনিয়োগের বিপরীতে একক ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।