আরটিজিএসে লেনদেন ৬২ হাজার কোটি টাকা
অনলাইন ব্যাংকিংয়ে সহজে দ্রুত লেনদেনের সুবিধা দিচ্ছে রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস)। ফলে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাৎক্ষণিক এ লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় পরিশোধ হয়েছে ৬২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস আগস্টের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাৎক্ষণিক এ লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় আরটিজিএস পরিশোধ হয়েছে ৬২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। এর আগে আগস্টে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সার্ভারে ত্রুটির কারণে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আরটিজিএসে লেনদেন কমে যায়। লেনদেন বাড়াতে গত মাসে ব্যাংকগুলোকে নিয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দীর্ঘদিন স্থবিরতার পর রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএসে লেনদেন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তুলনামূলক কম খরচ ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের সুযোগের ফলে অনলাইনে লেনদেন নিষ্পত্তির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখন আরটিজিএস।
জানা গেছে, গ্রাহকরা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে এক লাখ বা তার বেশি অংকের টাকা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারছেন।
গত জানুয়ারিতে এ ব্যবস্থায় এক লাখ ১১ হাজার ৫৪৫টি লেনদেনের বিপরীতে মোট এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ হয়। তবে লেনদেন ব্যাপক কমে মার্চে যা ছিল ১৫ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এর পরের মাস এপ্রিলে লেনদেন আরও কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। গত জুলাইয়ে সার্ভারে ত্রুটি পুরোপুরি ঠিক হলেও এক ধরনের উদ্বেগ থেকে বড় লেনদেন নিষ্পত্তিতে অন্য ব্যবস্থা ব্যবহার করছিল ব্যাংকগুলো।
যেভাবে সম্পন্ন হয় আরটিজিএস :
কোনো একটি ব্যাংকের গ্রাহক তার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগে জানাবে যে, তার অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একটি ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে হবে। ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ ওই পেমেন্ট অর্ডার বাংলাদেশ ব্যাংকের আরটিজিএসে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেই অ্যাকাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যাবে।
এসআই/এনডিএস/পিআর