ভেজালের ভিড়ে আসল পণ্য চেনা দায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৮

‘বাংলাদেশে নকল ও ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ি। ভেজালের ভিড়ে আসল পণ্য চেনায় দায় হয়ে গেছে। পৃথিবীতে মোট সম্পদের চার ভাগের তিন ভাগ মেধাসম্পদ। কিন্তু এ মেধাসম্পদ সুরক্ষায় বাংলাদেশে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। ফলে নকল পণ্য তৈরি বেশি হচ্ছে। ফলে বছরে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

শনিবার ‘মেধাস্বত্ব সম্পত্তি অধিকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড সেক্রেটারি অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) পেশাগত উন্নয়ন (সিপিডি) বিষয়ক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইপ্যাব) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, নকল পণ্যের ছড়াছড়ি চারদিকে। আমাদের ভোক্তাদের নকল পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। নকল পণ্য কেনা বন্ধ করলেই এ পণ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রপ্ত সচিব আবদুল হালিম বলেন, ইন্টেলেকচুয়াল পলিসি রাইট ফাইলটি ড্রাফ আকারে আছে দ্রুত এটা বাস্তবায়িত হবে। দেশ উন্নত হচ্ছে আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্র উন্নত হতে হবে। ভেজাল পণ্য রোধ করতে হবে।

সিপিডি সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রফেশনাল ডেভেলপন্টের সাব কমিটির সভাপতি ও ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদ উল্লাহ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট সানাউল্লাহ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ভেজাল পণ্যের ভিড়ে আসল পণ্য চেনাই দায়। সরকারের উচিৎ ভেজাল রুখতে আইনের কার্যকর প্রয়োগ করা।

পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক (ডিপিডিটি) রেজিস্ট্রার এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সানোয়ার হোসেন আইপির সম্পর্কিত রেগুলেশনস এবং ডিপিডিটি এর কার্যাবলী সম্পর্কে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, আইপিআর সুরক্ষা নতুনত্বকে উৎসাহিত করে, একটি ভালো ব্যবসা পরিবেশে তৈরিতে অবদান রাখে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ায়। তাছাড়া, বাজার বৈচিত্র অর্জনের জন্য মান উন্নয়নে আইপিআর অপরিহার্য।

এমইউএইচ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।