২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৩০ হাজার মেগাওয়াট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৮

আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াট হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিআইএফএফএল গ্রিন অ্যান্ড পিপিপি কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম তিন বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়েছিল। আমি মনে করি, সেই ক্র্যাশ প্রোগ্রামই ১০ বছর ধরে সরকারের প্রবৃদ্ধির অর্জনের পথ করে দেয়। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হচ্ছে। ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াবে। চাহিদা তার চেয়ে বেশি হবে না। এটি আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তির বিষয়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দেশের এক কোটি অতি দরিদ্র মানুষ আছে। নিঃসন্দেহে আমরা দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হ্রাস করেছি। তবে বৈষম্য কাঙ্খিত মাত্রায় কমেনি। আগামী দিনগুলোয় সেটি আমাদের দু:শ্চিন্তার কারণ হবে।’

জলবায়ুর পরিবর্তন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশ দায়ী নয়, তবু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা এ ক্ষতিপূরণ আদায়ে কাজ করছি।’

তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত সচিব এখলাচুর রহমান। বিশ্বব্যাংক ও জাইকার প্রতিনিধি, বিআইএফএফএলের নির্বাহী পরিচালক এস এম ফরমানুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

এবারের প্রদর্শনীতে রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, বিএসআরএম, বার্জার, মোহাম্মদী গ্রুপ, এমইপি ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেয়ার ইলেকট্রনিকস, ম্যাক্স গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

এমইউএইচ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।