৪০০ কোটির ঘরে নামল ডিএসইর লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টানা তিন কার্যদিবস বড় দরপতনের পর মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও লেনদেনে খরা দেখা দিয়েছে। ফলে একমাস পর আবারও ডিএসইতে লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা।

তবে লেনদেনে খরা দেখা দিলেও এদিন ডিএসইতে যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৪০টি। ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য এর আগের তিন কার্যদিবসের টানা পতনে এ সূচকটি প্রায় দেড়শ পয়েন্ট কমে যায়।

ডিএসইর অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে মঙ্গলবার ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

তবে মূল্য সূচক ও বাজার মূলধন বাড়ালেও লেনদেন কমেছে প্রায় শত কোটি টাকার। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ডিএসইতে লেনদেন কমল। এমন টানা লেনদেন কমার কারণে ২৬ আগস্ট থেকে একমাস পর ডিএসইতে আবারও ৫০০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হলো।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো মঙ্গলবারও ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএল’র শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের ২০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাকটিভ ফাইন।

লেনদেনে এরপর রয়েছে শাশা ডেনিম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিবিএস কেবলস, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইনটেক এবং আমান ফিড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার। লেনদেন হওয়া ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।

এমএএস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।