মহানগরে ও নদীর পাড়ে আর শিল্পকারখানা নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আটটি মহানগরসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এবং নরসিংদীর নদীর পাড়ে বা সিটির ভেতরে আর কোনো ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠেতে দেয়া যাবে না। যেগুলো গড়ে উঠেছে সেগুলোও ধীরে ধীরে সরিয়ে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘নদীর দূষণ রোধ নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাষ্কফোর্স’ ৩৮ তম সভা শেষে তিনি সংবাদিকদের এ কথা বলেন।

নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এছাড়া মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নদীর তীরে অনেকগুলো সিমেন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। যেগুলো নদী দূষণ করছে। এ কারখানার মালিকদের সঙ্গে বসে নদী দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তারা যদি আমাদের সিদ্ধান্ত না মানে তারপর আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, নদীর পারে অবৈধভাবে ৯ হাজার ৫০০ স্থাপনা স্থাপিত হয়েছিল সেগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা সরকারি জমি উদ্ধার করেছি ৫০১ একর। ৫০ কিলোমিটার ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আরও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি এর মাধ্যমে আরও ১৫০ কিলোমিটার ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ করবো।

তিনি বলেন, নদীর সীমানা নির্ধারণে ইতোমধ্যে আমরা করেছি ৯ হাজার ৫৭৭টি পিলার স্থাপন করেছি। তার মধ্যে ৩ হাজার ৮৫৬টি পিলারে আপত্তি এসেছিল। ১ হাজার ৭৫১টি পিলারের আপত্তি নিষ্পত্তি করেছি।

‘আমরা ১০ হাজার ৪০০ পিলার স্থাপন করবো। এসব পিলার বেশ শক্তভাবে স্থাপন করা হবে যাতে করে কেউ তুলে ফেলতে না পারে। এর আগের পিলারগুলোর অনেকগুলো অবৈধ দখলদাররা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমরা নতুন বেশ শক্তকরে এসব পিলার স্থাপন করবো। এছাড়া ১৯টি নতুন আরসিটি জেটি নির্মাণ করবো। এর ফলে নদী দখলের হাত থেকে রক্ষা পাবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা আশুলিয়া, সিন্নিরটেক ও টঙ্গিতে তিন ইকোপার্ক তৈরি করবো। বর্ষার সময় আশুলিয়ার রাস্তার পাড় দিয়ে মানুষ বিনোদনের জন্য যেতো। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ এবং শ্যামপুরে ইকোপার্ক নির্মাণ করার ফলে এখন হাজার হাজার মানুষ সেখানে যায়। নদীর ধারে ২০ কিলোমিটার ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ করায় সেখানে অনেক মানুষ হাঁটাহাঁটি করে।

তিনি বলেন, নদীর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনে নদী কমিশনের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম হাতে নেবো।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ৪৬টি খাল ছিল এর মধ্যে ২৬টি খাল চিহ্নিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব খাল উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেছি। এছাড়া যেসব খাল উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোর পর্যাপ্ত প্রবাহ অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে সেসব জায়গা নতুন করে আর কেউ দখল করতে না পারে।

এমইউএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।