শুল্ক-অশুল্ক বাধা আঞ্চলিক বাণিজ্যের বড় প্রতিবন্ধকতা : অর্থমন্ত্রী
* আমাদের বাণিজ্য ইউরোপ, আমেরিকা নির্ভর
* সাফটার মাধ্যমে নতুন করে কানেকটিভিটি কার্যকর করা হবে
* দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য ৩ গুণ বাড়ানো সম্ভব
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বড় বাধা শুল্ক৷ কিছুটা অশুল্ক বাধাও রয়েছে৷ সেগুলো দূর করতে চেষ্টা চলছে। কানেকটিভিটি বাড়ানো হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য বাধা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘এ গ্লাস হাফ ফুল: দ্য প্রমিজ অব রিজিওনাল ট্রেড ইউনিয়ন ইন সাউথ এশিয়া' শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাণিজ্য ইউরোপ, আমেরিকা নির্ভর। কারণ সেখানে সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়াতে হবে৷ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর তালিকায় থাকা পণ্যের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি৷
তিনি বলেন, ৪৭ এর মতো কানেকটিভিটি সম্ভব নয়, তবে চেষ্টা চলছে। সাফটা কার্যকরের মাধ্যমে নতুন করে কানেকটিভিটি কার্যকর করা হবে৷ আমরা চেষ্টা করছি, গতকালও ভারতের সঙ্গে কানেকটিভি বাড়াতে কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি৷ এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের কানেকটিভিটি আরও বাড়বে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের তৈরি বাণিজ্য বাধা দূর করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য ৩ গুণ বাড়ানো সম্ভব এবং বর্তমানের আঞ্চলিক বাণিজ্য ২৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চার ধরনের বাধার কারণে বাণিজ্য বাড়ছে না। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ শুল্ক, আধা শুল্ক ও অশুল্ক বাধা, কানেকটিভিটি খরচ এবং সীমান্ত আস্থার সঙ্কট।
এতে বলা হয়, বিশ্বে বাংলাদেশের বাণিজ্য এখন ৮৪.৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য হচ্ছে মাত্র ৭.৬ বিলিয়ন ডলারের। সারা বিশ্বে যেখানে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে, সেখানে গত ২৫ বছরে এ অঞ্চলের বাণিজ্য ২৩ বিলিয়ন ডলারে আটকে আছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য হচ্ছে ৭.৬ বিলিয়ন ডলার। এটি ১৮.৯ বিলিয়ন করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সমন্বয়ক সঞ্জয় কাঠুরিয়া।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাফটা চুক্তি রয়েছে। ফলে কোনো শুল্ক থাকার কথা নয়। অথচ এ অঞ্চলেই বেশি শুল্ক রয়েছে। সরাসরি শুল্কের বাইরেও আধা ট্যারিফ রয়েছে। এটাকে বলা যায় কোনো শুল্ক নেই তবুও সবচেয়ে বেশি শুল্ক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান।
এমএ/এমএমজেড/পিআর