৪২ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রায় দুই মাস পর বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ ৪২ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বাজারটিতে।

তবে লেনদেনের বড় উত্থান হলেও এদিন ডিএসই এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সেঙ্গ কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৮৯টি। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন ও মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাজারটিতে এর আগে গত ২২ জুলাই হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছিল। ২২ জুলাই লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

সে হিসাবে বৃহস্পতিবার ২২ জুলাই’র থেকেও বেশি লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবারের আগে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১১ জুলাই। ১১ জুলাই লেনদেন হয় ১ হাজার ১১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে দুই মাস ২ দিন পর বা ৪২ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসই সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।

লেনদেনের এই উত্থানের দিন টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের ৮০ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেপিসিএল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বিবিএস কেবলস, সিঙ্গার বিডি, শাশা ডেনিম, আমান ফিড, ফরচুন সুজ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২২টির। আর দাম অপরিবর্তীত রয়েছে ১৮টির।

এমএএস/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।