কোমল পানীয় থেকে দৃষ্টি ফেরাচ্ছে পেপসি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮

ইসরায়েলি কোম্পানি ‘সোডাস্ট্রিম’ কিনে নিয়েছে পেপসি। চিনিসমৃদ্ধ পানীয় হিসেবে পরিচিত ‘পেপসি’ নিজেদের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করতে চায়। ইসরায়েলি কোম্পানি সোডাস্ট্রিম কিনে নেয়ার পেছনে এটি অন্যতম কারণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই হাতবদলে সোডাস্ট্রিমের বর্তমান মালিককে ৩২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিবে পেপসিকো। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে পুরো প্রক্রিয়া। এরপরই শুধু কোমল পানীয় নয়, স্বাস্থ্যসম্মত ফিজি ড্রিঙ্ক উৎপাদনকারী হিসেবেও বাজারে নাম ছড়াবে পেপসি।

পেপসিকোর চেয়ারম্যান ও সিইও ইন্দ্র নোয়ি জানিয়েছেন, পেপসিকো এবং সোডাস্ট্রিম খুব দারুণ জুটি হবে। সোডাস্ট্রিম উৎপাদন বর্জ্যের পরিমাণ কমিয়ে দারুণ সব পানীয় তৈরি করে।

সোডাস্ট্রিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড্যানিয়েল বির্নবাউম এই চুক্তিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বাজারে থাকা সব কোলা পানীয়র বিকল্প পানীয় হিসেবে সোডাস্ট্রিম নিজেদের বাজারজাত করে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিনিসমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করছে পেপসি। তারই অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই চুক্তিকে।

অতীত বিতর্ক

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কোমল পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই এখন অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পানীয়ের দিকে ঝুঁকছে। ইউরোপ ও এশিয়ার বাজার দ্রুত দখলে নিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি সোডাস্ট্রিম।

কিন্তু অন্য একটি কারণে বিতর্কিত সোডাস্ট্রিম। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির মূল কারখানার অবস্থান ছিল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে। ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্ব ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারীত্বের প্রতিবাদকারীরা এটিকে কখনই সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি।

এক পর্যায়ে অর্থনৈতিক কারণ দেখিয়ে ২০১৫ সালে সোডাস্ট্রিম কারখানাটি বন্ধ করে দেয় এবং কারখানা সরিয়ে নেয়া হয় দক্ষিণ ইসরায়েলে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।