চামড়ার দরপতনকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললেন ট্যানারি মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৮

কোরবানিতে কাঁচা চামড়ার দরপতনকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ।

শনিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিটিএর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএ সিনিয়র সহসভাপতি মো.মাজাকাত হারুন, সহ সভাপতি ইলিয়াসুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শাহীন আহমেদ বলেন, কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় যে খবর প্রচার করা হচ্ছে এটি আসলে বিছিন্ন ঘটনা। পাড়া মহল্লার লোকজন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নামে জোরপূর্বক কম দামে চামড়া কেনার দায় ট্যানারিগুলো নেবে না। ট্যানারির মালিকরা নির্ধারিত মূল্যে লবণযুক্ত চামড়া কিনবে। তবে কেউ যদি চামড়ায় সঠিকভাবে লবণ না মেশায় তাহলে সেই চামড়ার দাম পাবে না। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্যানারি মালিকরা তা সংগ্রহ করবে।

চামড়া পাচারের শঙ্কার কথা জানিয়ে বিটিএর সভাপতি বলেন, যেভাবে মিডিয়ার প্রচার হচ্ছে যে ত্রিশ বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এটি আসলে ঠিক নয়। এ ম্যাসেজের কারণে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা থাকবে। এই অবস্থায় আগামী একমাস সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

southeast

শাহীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ ট্যানারি উৎপাদনে নেই। গত বছরের ৪০-৪৫ শতাংশ চামড়া এখনো অবিক্রিত রয়েছে। সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের কারণে গত দুই বছর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হয়নি। ফলে রফতানিও কমেছে। এ ছাড়া নিজস্ব অর্থে ট্যানারি স্থানান্তরের কারণে পুঁজি সংকটে রয়েছে ট্যানারি মালিকরা।

এবার মাত্র ৪২ ট্যানারিকে ঋণ দিয়েছে ব্যাংক। বাকিরা বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় ঋণ পায়নি। এ অবস্থায় অনেক ট্যানারি মালিক আড়তদারদের পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি। অন্যদিকে বিশ্ব বাজারে চাহিদা কম। এসব কারণে কাঁচা চামড়ার দাম কমে গেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে বিটিএর সভাপতি বলেন, সাভারে পরিকল্পিত ট্যানারি শিল্প গড়ে না উঠার দায় বিসিকের। ভুল তথ্য দিয়ে ট্যানারি মালিকদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এখানে যে বিনিয়োগ করেছিল ট্যানারি মালিকরা তা মাঠে মারা গেছে। আগামীতে এ অবস্থা চলতে থাকলে বিসিকের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

এসআই/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।