গেল সপ্তাহে লেনদেন কমলো সাড়ে ২৩ শতাংশ
গেল সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে (১২ থেকে ১৬ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বাড়লেও লেনদেনে পতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক এর আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে এক শতাংশের ওপরে। বিপরীতে লেনদেন কমেছে সাড়ে ২৩ শতাংশের ওপরে।
মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬০ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গেল সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ২১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে হয় ৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে হয়েছিল ১৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৬১টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৬৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আর গেল সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৮০৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অবশ্য ১৫ আগস্ট লেনদেন বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৪ দশমিক ১২ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৬০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে ছিল।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় বিবিএস কেবলসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩০ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। ৬৯ কোটি ৭৯ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- সায়হাম টেক্সটাইল, হামিদ ফেব্রিক্স, ড্রাগন সোয়েটার, এবি ব্যাংক, লিগাসি ফুটওয়্যার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
এমএএস/জেডএ/এমএস