আগেভাগেই বাজারে শিম, দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৮

শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত শিম বেশ আগেভাগেই বাজারে চলে এসেছে। তবে দাম বেশ চড়া। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বক্রি হচ্ছে ফুলকপি, পাকা টমেটো ও উস্তে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওরানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিম ও ফুলকপি শীতকালীন সবজি। শীত আসতে এখনও বেশ সময় বাকি আছে। তবে শীতের আগাম সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। আগাম বাজারে আসায় এ দু’টি সবজির দাম একটু চড়া।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজার ভেদে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়। ছোট আকারের ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। আর পাকা টমেটো ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শিমের দামের বিষয়ে রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন, বাজারে যে কোনো সবজি নতুন আসলে দাম একটু বেশিই থাকে, এটা স্বাভাবিক। এখন এক কেজি শিম ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। এক সময় এই শিমই ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। কিন্তু ১৬০ টাকার শিমের যে স্বাদ তা ২০ টাকা কেজির শিমে পাওয়া যাবে না।

পাকা টমেটো ও উস্তের চড়া দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ঢাকাতে এখন ১২ মাস টমেটো পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো এখন টমেটোর মৌসুম না। কিছু ব্যবসায়ী মৌসুমের সময় টমেটো মজুদ করে রেখেছিলেন। এখন বাজারে সেই টমেটো পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে দাম চড়া।

আর এখন উস্তের চাষ খুব একটা হয় না। যে কারণে বাজারে উস্তের সরবরাহ বেশ কম। কিন্তু ক্রেতাদের মধ্যে উস্তের চাহিদা আছে বেশ। এ কারণে এর দাম বেশি। কিন্তু করলার দাম উস্তের চেয়ে বেশ কম।

ফুলকপির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের আরেক ব্যবসায়ী বাবু বলেন, শীতের আগাম সবজি খেতে হলে দাম একটু বেশি দিতেই হবে। এটি শুধু এখন নয়, সব সময় আগাম সবজির দাম একটু বেশি থাকে। এখন যে ফুলকপি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে কয়েক মাস পরে এর দশগুণ বড় ফুলকপি ৩০ টাকায় পাওয়া যাবে।

এদিকে টানা বৃষ্টি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাবে গত সপ্তাহে বেশকিছু সবজির দাম বেড়ে যায়। বৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামলেও বেড়ে যাওয়া সবজির দাম কমেনি।

পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিংগা, কাকরল, ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়া বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের দামও অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেগুন। সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ, ডিম, মুরগি এবং পেঁয়াজ।

গত সপ্তাহের মতো বেশিরভাগ বাজারে চিচিংগা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে এ সবজির দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি। পেঁপে আগের সপ্তাহের মতো ২০-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা।

এদিকে একমাসের বেশি সময় ধরে কাঁচামরিচ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা পোয়া বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দামও। আগের সপ্তাহের মতো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা দরে।

ডিম আগের সপ্তাহের চেয়ে একটু কমে ১০০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকা। আর সাদা বয়লার মুরগি আগের মতো ১৪০-১৫০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. সদরুল বলেন, বৃষ্টিতে অনেক চাষির ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। শীতের সবজি পুরোপুরি বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

এমএএস/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।