কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৮

দাম কমিয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার এ মূল্য ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।

অপরদিকে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারাদেশে ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গতবছর ছিল ২০-২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩-১৫ টাকা। যা গত বছর ছিল ১৫-১৭ টাকা। তবে মহিষের চামড়ার দামের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম কেন কমিয়ে ধরা হয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাঁচ টাকা ডিফারেন্ট তেমন বেশি কিছু নয়। কারণ ব্যবসায়ীরা অপারগতা প্রকাশ করেছে। তারা যদি চামড়া কিনতে না পারে তাহলে তো হবে না। সে কারণে বাস্তব সম্মত একটা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ট্যানারির জন্য সভারকে এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারিনি। কাজেই চামড়া শিল্পে একটু খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এ ছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও বাঁচাতে হবে। আবার মাঝখানে যারা ব্যবসা করে তাদেরও দুটো পয়সা রোজগারের সুযোগ রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিবছরই চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সময় ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর দাবি জানায়, প্রতিবারই সমস্যা থাকে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যাই আলোচনা করি না কেনো এ খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই মূল্যটা নির্ধারণ করেছি।

অপর এক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন তাই পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

বৈঠকে জানানো হয় অসাবধাণতাবশত চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রতিবছর প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার অর্থিক ক্ষতি হয়। তাই চামড়া ছড়ানোর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

সভায় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চামড়া ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমইউএইচ/এমএমজেড/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।