আরো ৯ পণ্যে নগদ সহায়তা
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকার বর্তমানে ২৭টি পণ্য রফতানি খাতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে, এবার আরো ৯টি পণ্য রফতানিতে দশ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পণ্যগুলো হলো- হিমায়িত সফটসেল কাঁকড়া, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য ও ঔষুধের কাঁচামাল, সিরামিক দ্রব্য, গালভানাইজড সিট বা কয়েলস, ফটোভলটাইক মডুল, রেজার ও রেজার ব্রেডস, ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড।
আগামীতে দেশের রফতানিকারকরা পণ্য রফতানিতে আরো বেশি উৎসাহিত হবেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে দেশের মোট রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রফতানিতে আগে ৩ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করতো, এখন আরো একভাগ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে তৈরি পোশাক রফতানিতে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে।
সভায় ব্যবসায়ী নেতারা রফতানি বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোর উন্নয়ন, ব্যবসায়িক জটিলতা নিরসন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং স্থল ও সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সরকার পর্যাপ্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চলমান কাজগুলো শেষ হলে রফতানি বাণিজ্য সহজ হবে। দেশের রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহজ করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক রফতানি বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশ বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/এমআরএম/আরআইপি