পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৮

পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ও প্রকল্প রাখাসহ ১০টি সুপারিশ দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে এ সংক্রান্ত কমিটি। কমিটির এ প্রতিবেদন বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কিছু সুপারিশ করে। তার আলোকে পার্বত্য অঞ্চলে ২০১৭ সালে ১২ ও ১৩ জুন সংঘঠিত পাহাড় ধসের কারণ অনুসন্ধান এবং পরিবেশগত সমীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বিক সমীক্ষার উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং নগর উন্নয়ন অধিদফতরের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

ওই কমিটি পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট ও প্রকল্প রাখাসহ ১০টি সুপারিশ দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এ প্রতিবেদন বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

কমিটির সুপারিশগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হলো- পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট ও প্রকল্প থাকতে হবে। যেখানে বাঁক আছে ঠিক করতে হবে। ঢালে যেসব বসতি আছে তাদের সরিয়ে নিতে হবে। যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণে প্রকল্প নিতে হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কমপ্রিহেনসিভ নন ইন্ট্রুসিভ ইন্সপেকশন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

এ ছাড়া আজ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের জন্য ৯৮টি লটে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ১১০টি বই কেনার একটি ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এ জন্য ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। একই শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি ভার্সনের বই, ইবতেদায়ি, দাখিল, ও এসএসসি সমমানের ভোকেশনাল বই কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ১৩২টি লটে এসব বই কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্য সাবমেরিন আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মেসার্স এমএম কর্পোরেশনের কাছ থেকে এসব ক্যাবল কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বৈঠকে উত্থাপিত আরও দুটি প্রস্তাবের একটি বাতিল ও একটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী বৈঠকে উত্থাপনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এমইউএইচ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।