যৌথ মালিকানায় করা যাবে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

যৌথ মালিকানায় একাধিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিকে সঙ্গে নিয়ে মাবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান করা যাবে। তবে কোনো মোবাইল অপারেট এমএফএস’র অংশীদায়ী হতে পারবে না।

সোমবার ‘মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস নীতিমালা-২০১৮’ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরুর পর পূর্ণাঙ্গ কোনো নীতিমালা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে এমএফএস প্রতিষ্ঠান করতে একাধিক ব্যাংক, এনজিও এবং আর্থিক খাতের প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকেও মালিকানায় নেয়া যাবে। তবে কোনো অবস্থাতেই টেলিফোন অপারেটগুলোকে অংশীদারি দেয়া যাবে না। এমএফএস প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম মূলধন হবে ৪৫ কোটি টাকা, যার ৫১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ব্যাংকের থাকতে হবে।

বর্তমানে ১৮টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। যেখানে নিবন্ধিত গ্রাহক প্রায় ৬ কোটি ১৯ লাখ। দৈনিক গড়ে ১১শ’ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য বর্তমানের মতো শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আবেদন করতে পারবে। নতুন করে কোনো ব্যাংকের এমএফএস সেবা চালু করতে হলে নতুন নীতিমালার আলোকে আলাদা সাবসিডিয়ারির জন্য আবেদন করতে হবে। আর লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে দুই ধাপে। প্রথম দফায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি নিতে হবে। এরপর চূড়ান্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ লাইসেন্সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। লাইসেন্স পাওয়ার পর ১২ মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু না করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে। এতোদিন একটি ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত শুধু অনাপত্তি দেয়া হতো।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, মোবাইল নম্বর হবে গ্রাহকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট। নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে অ্যাকাউন্ট খোলার পর গ্রাহকরা এজেন্ট পয়েন্ট ছাড়াও এটিএম বুথ, ব্যাংকের শাখা ও লিংক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ক্যাশ-ইন ও ক্যাশআউট করতে পারবে। অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পরিশোধ, সরকার থেকে ব্যক্তির পরিশোধ, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি, ব্যবসায়িক পরিশোধ, ই-কমার্সের পরিশোধ করা যাবে। বৈধ উপায়ে ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দেয়া যাবে। তবে কোনো অবস্থায় দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্সের অর্থ দেশে আনা যাবে না।

এসআই/জেডএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।