দুদকে গণশুনানিতে প্রাইম ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তা


প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৪

পঁচানব্বই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গণশুনানিতে অংশ নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং শাখার ১৬ কর্মকর্তা। এজন্য সোমবার সকাল ১১টায় তারা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যান।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, দুদকের উপপরিচালক রাশেদ রেজা তাদের শুনানি নিচ্ছেন। দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান ও কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।

গণশুনানিতে অংশ নেওয়া এই ১৬ কর্মকর্তারা হলেন-  প্রাইম ব্যাংকের দিলকুশা শাখার  সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার কামরুল আহমেদ ফেরদৌস, আইবিবি দিলকুশা শাখার সাবেক ম্যানেজার ইজবাহুল বার চৌধুরী, কর্মকর্তা এফ এম আশফাকুর রহমান, সিনিয়র অফিসার আবু ওয়াহেদ  মো. আমিনুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম মানিক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট  মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ভাইস  প্রেসিডেন্ট এইচএম জাকির হোসাইন, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট  মোহাম্মদ  মোতাহার  হোসেন,  মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বালী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন, মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিরান হোসেন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, এসএমএ মজিদ আনছারী, সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নূরুল আমিন ও  সাবেক  ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট মুহাম্মদ শামসুল আলম।

গত ১৯ মে ৯৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে প্রাইম ব্যাংকের এই ১৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, প্রাইম ব্যাংকের দিলকুশাস্থ ইসলামী ব্যাংকিং শাখার আইটি সিস্টেম, ইউজার আইডি, ওই শাখার সংশ্লিষ্ট অন্য এক কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড কৌশলে জেনে নেয় কামরুল আহমেদ ফেরদৌস। পরে ওই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের ঋণ একাউন্ট করে ভুয়া জমা দেখিয়ে টাকা উঠিয়ে করে নিয়ে যান ওই কর্মকর্তা।

দুদকের  দীর্ঘ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আসামি ফেরদৌস তার পরিচিত  বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট থেকে বন্ধু-বান্ধবের একাউন্টে স্থানান্তর করে এ টাকা আত্মসাত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ বছরে প্রাইম  ব্যাংক দিলকুশা ইসলামী ব্যাংকিং শাখায় এ ৯৫ কোটি টাকার আত্মসাতের ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনাটি জানতে পেরে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো ইফতেখার হোসেন বাদী হয়ে ব্যাংকের ওই শাখার নির্বাহী  কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ ফেরদৌসকে আসামি করে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং (৭৩) মতিঝিল থানা।

পরে দুদকের তদন্তে ফেরদৌস এবং ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাসহ মোট ৩৮ জনের নাম বেরিয়ে আসে। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।