কৃষিপণ্যে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৮

* ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার
* কমেছে চা ও সবজি রফতানি

কৃষিপণ্য থেকে রফতানি আয় বেড়েছে। বিগত অর্থবছরে এ খাতের আয় রফতানি লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুসারে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) কৃষিপণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালে কৃষিপণ্যে রফতানি আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। ফলে বিগত অর্থবছরে এখাতে রফতানি আয় বেড়েছে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

কৃষিপণ্যের খাতওয়ারি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত অর্থবছরে চা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫০ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ কম। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালে চা রফতানি হয়েছিল ৪৪ লাখ ডলার। সে তুলনায় গত অর্থবছরে চা রফতানি কমেছে ৩৮ দশমিক ০৩ শতাংশ।

গেল অর্থবছরে সবজি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) সবজি রফতানি হয়েছিল ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে তুলনায় গত অর্থবছরে সবজি রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এ সময় তামাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তামাক রফতানি হয়েছিল ৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। সে তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক রফতানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাতকৃত ফুল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। এর আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) ফুল রফতানি হয়েছিল ৮ লাখ ডলার। সে তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ফুল রফতানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

একই সময় ফল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২ দশমিক শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) এ খাতে আয় হয়েছিল ২৬ লাখ ডলার। সে তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সবজি রফতানি কমেছে ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরে মসলা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) মসলা রফতানি হয়েছিল ৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের। সে তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মসলা রফতানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ।

শুকনো খাবার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২০ কোটি ১৩ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬১ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের (২০১৬-১৭) শুকনো খাবার রফতানি হয়েছিল ১০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। ফলে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে সবজি রফতানি বেড়েছে ৮৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।

অন্যান্য পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২৮ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) সবজি রফতানি হয়েছিল ২৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এতে আগের বছরের তুনলায়ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সবজি রফতানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এমএ/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।