ভারত ও বাংলাদেশ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হতে পারে : আমু


প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০৬ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক ও কানেক্টিভিটির সুবিধা যৌথভাবে কাজে লাগিয়ে দু’দেশকে এশিয়ার প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এর সহায়তায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত স্থল সীমানা চুক্তি এক্ষেত্রে বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে ভারতের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে সম্মতি ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামোখাতে গুণগত পরিবর্তন আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত ইন্ডিয়া ইনভেস্ট্র্রেড-২০১৫ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। বর্তমান সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উদার বিনিয়োগ ও শিল্পনীতি গ্রহণ করেছে। এ নীতির আওতায় বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় ইনসেনটিভ দেয়া হচ্ছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত এসব সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, ভারতের জন্য বাংলাদেশ পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ করছে। এর ফলে বাংলাদেশে ভারতে বিনিয়োগ বাড়বে। ভারতীয় বিনিয়োগে উৎপাদিত শিল্পপণ্য ভারতে পুনঃরফতানির মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস, আইটি, হেল্থ কেয়ার, ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, উচ্চ শিক্ষা, এনার্জি ও ইলেকট্রিক ইকুইপমেন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি, অ্যাগ্রোবিজনেস খাতে সরাসরি কিংবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ সরণ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে উদ্যোক্তা পর্যায়ে পারস্পরিক আস্থা সুদৃঢ় করা প্রয়োজন। উদ্যোক্তাদের মাঝে স্থিতিশীল ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক দু’দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন প্রক্রিয়া জোরদারে সহায়তা করবে।

এ সময় ভারতের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী অর্থনীতি (খড়ি পড়ংঃ বপড়হড়সু) গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি অভিমত দেন। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তিনি বাংলাদেশের রফতানি পণ্য বৈচিত্রকরণের পাশাপাশি গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়া ইনভেস্ট্র্রেড-২০১৫ এর চেয়ারম্যান মিজ. নয়নতারা পালচৌধুরী। এচাড়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র পরিচালক সাফকোয়াত হায়দার, ডিসিসিআই এর সভাপতি হোসাইন খালেদ এবং আইবিসিসিআই’র মোহাম্মদ আলী আলোচনায় অংশ নেন।

এদিকে, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ইন্ডিয়া ইনভেস্ট্র্রেড-২০১৫এ ৬০টি স্টল স্থান পেয়েছে। এসব স্টলে ভারতের  উদ্যোক্তাদের তৈরি জ্বালানি, বৈদ্যুতিক পণ্য ও সরঞ্জাম, শিল্প যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত হচ্ছে। এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এসএ/আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।