মডার্ন ডাইং ও রহিমা ফুড তালিকাচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৮

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং ও রহিমা ফুডকে মুল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত (ডিলিস্টিং) করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিএসইর ২০১৫ সালের লিস্টিং রেজুলেশনের ৫২(১)(সি) ধারা অনুযায়ী কোম্পানি দুটিকে তালিকাচ্যুত করা হয়েছে। তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত আজ (১৯ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়েছে।

ডিএসইর এক পরিচালক জানিয়েছেন, এখন কোম্পানি দুটি চাইলে ওটিসি মার্কেটে তাদের শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। এ জন্য কোম্পানি দু'টিকে ওটিসি মার্কেটে লেনদেনের জন্য আবেদন করতে হবে। সেই সঙ্গে কিছু শর্তও পূরণ করতে হবে।

ওই পরিচালক জানান, মডার্ন ডাইং ও রহিমা ফুডের উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া উৎপাদন শুরু করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারপরও এই দুই কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। যা শেয়ারবাজারের জন্য ক্ষতিকর। মূলত এই কারণে কোম্পানি দু'টিকে শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া শেয়ারবাজার বিষয়ক আইনকানুন পরিপালন করাও তালিকাচ্যুতির একটি কারণ।

মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং : ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্লান্ট, শ্রমিক ও গ্যাসের সমস্যা এবং মেশিনের কার্যকারিতা অনেক কম হওয়ার কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যাতে ওই বছরের ৩ আগস্ট বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ফ্যাক্টরির জায়গা দীর্ঘমেয়াদে গোডাউনের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। তারপরও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বর্তমানে ৩২৬ টাকা ৩০ পয়সায় অবস্থান করছে।

রহিমা ফুড : ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রহিমা ফুডের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে। এছাড়া ২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির নিকট ভবিষ্যতে উৎপাদন শুরু হওয়ার মতো কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কোম্পানিটির শেয়ার দর রয়েছে আকাশচুম্বি অবস্থায়। তালিকাচ্যুতির আগে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৭৪ টাকা ৭০ পয়সা।

এমএএস/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।