সমুদ্রবন্দরগুলোর বিভিন্ন সেবার মান উন্নত করতে হবে
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরগুলোর বিভিন্ন সেবার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছে এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ী নেতারা চট্টগ্রাম বন্দরে সম্প্রতি বিভিন্ন সেবা বিশেষ করে কন্টেইনার ওঠা-নামা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জেটি নির্মাণ ইত্যাদি ইতিবাচক অগ্রগতি তুলে ধরেন। এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি রিলেটিং টু মিনিস্ট্রি অব শিপিং (মেরিটাইম পোর্ট)- এর এক সভায় আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
গত কয়েক মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কন্টেইনার জট সমস্যা সম্প্রতি এফবিসিসিআই এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সহজ হয়ে আসায় ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি কমে এসেছে বলে সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন। তবে এফবিসিসিআই নেতাদের মতে পতেঙ্গা টার্মিনালের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এছাড়াও তারা কনটেইনার রাখার টার্মিনাল নির্মাণের উপর জোর দেন।
তারা উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে লাইটার জাহাজের সমস্যা তেমন নেই; তবে চট্টগ্রাম সদরঘাটের প্রাইভেট জেটিগুলো পাকা করা প্রয়োজন। তারা নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএতে কয়েকটি জেটি নির্মাণ করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন। এর ফলে মাদার ভেসেলগুলোর ডেমারেজ থাকবে না এবং লাইটার পরিবহন দ্রুত করার মাধ্যমে পণ্য খালাস দ্রুত করা সম্ভব হবে বলেও জানান বক্তারা।
কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. পারভেজ সাজ্জাদ আকতার সভায় সভাপতিত্ব করেন। ড. সাজ্জাদ তার বক্তব্যে কমিটির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা উপস্থাপন করেন। তিনি কন্টেইনার পরিবহনের জন্য বন্দরের টোল রোডটি ৬ লেনে উন্নীত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান এবং চট্টগ্রাম বন্দরের রেললাইনটি বে টার্মিনাল পর্যন্ত সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। এছাড়াও রেলওয়ে মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আন্তরিক ও কার্যকর প্রচেষ্টায় বন্দরের কন্টেইনার জট পরিস্থিতি আগামী কয়েক বছরে আরও কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ সভায় উপস্থিত থেকে দেশের সমুদ্র বন্দরের সম্ভাবনা এবং এ কমিটির করণীয় বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এফবিসিসিআই পরিচালক নিজামুদ্দিন রাজেশ, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু এবং হাফেজ হারুণ সভায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও কমিটির কো-চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী, মাহবুব চৌধুরী, ক্যাপ্টেন শাহেদ চৌধুরী ও শামসুজ্জামান রাসেল এবং কমিটির সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
এমইউএইচ/এসএইচএস/আরআইপি