‘বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা বাড়েনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮

বৃহদায়তনের বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর ও অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট পাস করা হয়েছে, তা একটি যথানিয়মের বাজেট। এর মধ্যে তেমন কোনো নতুনত্ব নেই। শুধু আকার-আকৃতিতে বাজেটটি বড় হয়েছে। কেকনা এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য যেসব দক্ষ প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন সেসব প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। লাগামহীন দুর্নীতি বাড়লেও দক্ষ মানবসম্পদ না থাকার কারণে এই বাজেট বাস্তবায়ন দূরহ হয়ে পড়বে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ : একটি মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক সেমিনানে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এ সেমিনার হয়। এতে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সীমান্ত ব্যাংকের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার ফারুক তালুকদার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউইনভার্সিটির ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গর্ভনর বলেন, জিডিপির হার ক্রমাগত বাড়ছে, কিন্তু জিডিপির সুষম বণ্টন না থাকার ফলে সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। এ ব্যাপারে বাজেটে কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। এ সময় তিনি সরকারকে দেশের মেধাবী অর্থনীতিবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি এরকম একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এটি একটি ভালো দিক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতি এক দশক অন্তর অন্তর জিডিপির হার এক শতাংশ করে বাড়ছে। আশির দশক থেকেই এটা হয়ে আসছে। জিডিপির এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশে বিনিয়োগ হার ২৮ শতাংশ।
এটিকে অন্তত ৪০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।

সেমিনারে আনোয়ার ফারুক তালুকদার বলেন, মানুষের মধ্যে যেমন আয় বৈষম্য রয়েছে তেমনি আঞ্চলিক বৈষম্যও রয়েছে। যেমন সিলেট অঞ্চলের তুলনায় কুড়িগ্রাম অঞ্চলে দারিদ্র্য হার বেশি। শিক্ষার হারের মধ্যেও এই বৈষম্য দেখা যায়। এসব বৈষম্য নিরসনে বাজেটে কার্যকর প্রস্তাবনা থাকা উচিত।

এমএ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।