ডেল্টা লাইফ ছাড়ছেন সিদ্দিকুর রহমান
দেশের সর্ববৃহৎ জীবন বীমা কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একজন উদ্যোক্তা সিদ্দিকুর রহমান কোম্পানিটি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য তিনি তার কাছে থাকা প্রায় সব শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই জানিয়েছে, সিদ্দিকুর রহমানের কাছে ডেল্টা লাইফের ২ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্য থেকে তিনি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০টি শেয়ার বিক্রি করে দেবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বাজার দরে ডিএসই এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মাধ্যমে তিনি এ শেয়ার বিক্রি করবেন।
সে হিসাবে শেয়ার বিক্রির পর ডেল্টা লাইফের এই উদ্যোক্তার কাছে কোম্পানিটির আর মাত্র ১০০টি শেয়ার থাকবে। ২০১২ সালে ডেল্টা লাইফের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসার আগে সিদ্দিকুর রহমান কোম্পানিটির পরিচালক পদেও ছিলেন।
দেশের শেয়ারবাজারে ২০১০ সালের মহাধসের পর বাজার চাঙা করতে নেয়া বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণে বাধ্যবাধকতা দিয়ে নির্দেশনা জারি করে।
ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক পরিচালককে এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। ২ শতাংশের কম শেয়ারধারীরা পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না। পরিচালকদের আকস্মিক পদত্যাগে সৃষ্ট শূন্যপদ পূরণে যদি কোনো সাধারণ বিনিয়োগকারী কোম্পানির ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ার ধারণ করেন, পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
বিএসইসির ওই নির্দেশনা ছয় মাস অর্থাৎ ২০১২ সালের ২১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। যদি ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার সংগ্রহ করতে না পারেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে ওই কোম্পানি কোনো ধরনের রাইট বা পুনঃগণপ্রস্তাব (আরপিও) অনুমোদন পাবে না।
বিএসইসির জারি করা নির্দেশনার ফলে ডেল্টা লাইফের বেশ কয়েকজন পরিচালক পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন। যে কারণে বিএসইসির ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালের ৮ মে ডেল্টা লাইফের তৎকালীন ১১ জন পরিচালক আদালতে রিট করেন। কিন্তু আদালতের রায় বিএসইসির পক্ষে গেলে তৎকালীন চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হুসাইনসহ ১১ জন পরিচালক পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করা ওই ১১ জনের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমানও ছিলেন।
এমএএস/এসআর/পিআর