মানের সঙ্গে আপোস করে না ‘প্রাণ’
প্রাণ মসলা প্রক্রিয়াকরণের ধাপ দেখে অভিভূত রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা। তারা বলছেন, দেশের বাজারের বড় চাহিদা পূরণ করে প্রাণ মসলা যাচ্ছে বিশ্বের ১১৬টি দেশে। এটি বাংলাদেশের জন্য গর্ব। তাই তাদেরও প্রতিশ্রুতি, নিজেদের রেস্টুরেন্টে তারা ব্যবহার করতে চান প্রাণ মসলা। তবে এ জন্য বিশেষ মূল্য নির্ধারণ চান তারা।
বুধবার রাজধানীর বনানীর ফারিস রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে ঢাকার প্রায় ৫০টির বেশি নামি দামি রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্টরা এমন মতামত দেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার, পরিচালন কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাহী, ক্যাটারিংয়ের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাণ মসলা গ্রুপ বিশেষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এছাড়া প্রাণ এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জিএম কামরুল হাসান, ক্যাটাগরি ম্যানেজার তানভীর হাসান, প্রাণ মসলার অপারেশন প্রধান কফিল উদ্দিন মোল্লা, প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড-এর বিপণন প্রধান আতিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক সুভাস দেবসহ গ্রুপের বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিপণন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জিএম কামরুল হাসান বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বিশ্বের ১২০টি দেশে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি করে আসছে। প্রাণ বাংলাদেশের বহুজাতিক কোম্পানি। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পণ্যের গুণগত মান রক্ষা করে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে আমরা পণ্য বাজারজাত করছি। তবে ভুলত্রুটি হতে পারে। সেটি শুধরে নিয়ে আমরা আগামীতে আপনাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই।
কফিল উদ্দিন বলেন, প্রাণ বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মসলা বাজারজাত করছে। দেশের অনেক বড় বড় কোম্পানি সেটি করতে পারছে না। আমরা পণ্যের মান নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার করি। তাই আপনারা প্রাণ মসলা ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদের উৎসাহিত করতে পারেন।
তানভীর হাসান বলেন, আমরা বাণিজ্যিক গ্রাহক হিসেবে আপনাদের জন্য বিশেষ দর নির্ধারণ করে দিতে প্রস্তুত। আমরা আপনাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাই। তবে সেটি গুণগত মান বজায় রেখেই। প্রয়োজনে আপনারা আমাদের কারখানা পরিদর্শন করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপক(ক্যাটারিং) সুভাস দেব বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মসলায় গ্রুপের ৫০ হাজার কর্মী প্রতিদিন দুপুরের খাবার খাচ্ছে। কোনো অভিযোগ নেই। আমরা মসলার বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাই। তাই কোনো আপস নেই মানের সঙ্গে।
অনুষ্ঠানে আর্মি গলফ ক্লাবের ফুড ও বেভারেজ ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, প্রাণ মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে আর্মি গলফ ক্লাবের রান্নায়। আমাদের আস্থা রয়েছে প্রাণ মসলার ওপরে।
মাহবুর রহমান বাবলা বলেন, আমরা যারা রেস্টুরেন্ট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত তারা দেশের অন্যতম বড় কোম্পানি প্রাণ-এর মসলা ব্যবহার করতে চাই। তবে এ জন্য বাণিজ্যিক গ্রাহক হিসেবে দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে।
রেস্টুরেন্ট ব্যবহার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলেন, প্রাণ দেশের জন্য সম্মানের। বিদেশেও চলে প্রাণ-এর পণ্য। তবে প্রাণকে মান বজায় রাখতে সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে। মানের সঙ্গে আপোস করা যাবে না। আরএফএল প্লাস্টিক যেভাবে দেশে ও বিদেশে নাম কুড়িয়েছে, সেভাবে প্রাণ মসলাও একদিন আরো জনপ্রিয়তা পাবে।
এসএ/এসএইচএস/আরআইপি