পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরির প্রস্তাব ১৬ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৮

গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কাছ ১৬ জুলাই প্রস্তাব দেবে মালিক ও শ্রমিকরা।

রোববার (৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। এ সময় মালিক পক্ষের প্রতিনিধি কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ, শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ফজলুল হক মন্টু উপস্থিত ছিলেন। অস্থায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের নারী বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া।

বৈঠক শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বৈঠকের সিদ্ধান্ত ছিল মালিক ও শ্রমিক পক্ষ উভয়ই একটি প্রস্তাবনা দিবে। তারা অল্প কিছু সময় চেয়েছে। আমরা সময় দিয়েছি, যাতে ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করা যায়। আগামী ১৬ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় মজুরি বোর্ডের পরবর্তী বৈঠকে তারা প্রস্তাবনা জমা দিবেন।

আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আলোচনার শুরুতে মজুরি বোর্ডের পক্ষে একটি প্রেজেন্টশন দেয়া হয়েছে। সেই প্রেজেন্টশনে দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, মজুরি নির্ধারণে কোন বিষয়গুলো বিবেচ্য এবং সর্বশেষ মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আরও যে যে বিষয়গুলো একটা মজুরি নির্ধারণে জরুরি হয়, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছি।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা আট দিন সময় পাব। আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পোশাক শিল্প আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইন। মালিকের সক্ষমতা ও শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী মজুরি নির্ধারিত হবে। ১৬ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছে, প্রস্তাবনা এর মধ্যেই আমরা তৈরি করে ফেলব।

শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, প্রস্তাবনা জমা দেয়ার জন্য আমরা তৈরি ছিলাম। গ্রেড নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। ৭টি গ্রেড ছিল। তবে কিছু কিছু সংগঠন এটিকে ৫টি গ্রেডে নামিয়ে আনার কথা বলেছে। ৬, ৫, ৪ কে একটি গ্রেড করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, ৬নং গ্রেডের শ্রমিকেরা যদি ৪নং গ্রেডের মতো বেতন পায় তাহলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। একপক্ষ দিলে তো আর কোনো আলোচনা হবে না। এ জন্য আমরা সাবমিট করিনি।’

এদিকে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। বোর্ড গঠনের তিন মাস পর গত ১৯ মার্চ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর কয়েকজন প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, সভাটি ছিল মূলত পরিচিতিমূলক। ফলে তাতে বেতন কাঠামো নিয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়নি। বরং জোর আলোচনা চলেছে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে বিদ্যমান শ্রম আইন, পোশাক শ্রমিকদের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। দ্বিতীয় বৈঠকে মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষকে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব দেয়ার কথা বলা হয়। সভাটি গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে কালক্ষেপণের কারণে তা পিছিয়ে রোববার (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়।

এসআই/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।