বিএবি’র অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেয়েছে ৫৯ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮

প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ইতোমধ্যে ৫৯টি দেশি-বিদেশি ল্যাবরেটরি ও প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানে সক্ষম হয়েছে।

এর মধ্যে ৪৭টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি, ৬টি ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, ২টি মেডিকেল ল্যাবরেটরি, ২টি ইন্সপেকশন সংস্থা ও ২টি সনদ প্রদানকারী সংস্থা রয়েছে। বর্তমান সরকারের নীতি সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতার ফলে বিএবি’র পরিচিতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়া অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে বিএবি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব ও বিএবি’র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্।

বিএবি’র মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলামের সভাতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম, বিএবি’র বোর্ড সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শমশদ কোরোয়াসী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান মারুফ কবির এবং আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরি এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিনিধি মোস্তাক পারভেজ।

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকলে হলে, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হতে হবে। এ লক্ষ্যে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি অর্জন করা গেলে, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেশীয় পণ্য প্রবেশে সক্ষম হবে। বিএবি প্রতিষ্ঠার ফলে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা জন্য অ্যাক্রেডিটেশন সনদ অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এর সুফল পেতে শুরু করেছে। তারা বিএবি’র সেবাদান কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এর কারিগরি জনবল বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারের সুপারিশ করেন। একইসঙ্গে তারা দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিএবি’র পরিচিতি বাড়ানোর তাগিদ দেন।

শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বিএবি’র কার্যক্রম জোরদারের ফলে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার গুণগত মানোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্য ধীরে ধীরে উন্নত দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করছে। এর ফলে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ বাড়ছে এবং বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিএবি’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এসআই/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।